আচ্ছা, যদি এমনটা হয়, বাড়িতে বসে কাজ করার সময় সামনের জানালাটা খুলে দিলেন। সেই মুহূর্তে পাহাড়ের ফুরফুরে ঠান্ডা বাতাস আপনাকে ছুঁয়ে গেল। পাখিদের কলকাকলি এক্কেবারে ঘরের ভিতর থেকেই শোনা যাচ্ছে। হাতে ধোঁয়া ওঠা কফির কাপ। কাজ শেষে নিঝুম সন্ধ্যেবেলা পায়ে হেঁটে পাহাড় দেখার পরিকল্পনা মনে। মন্দ হয় না, তাই না! কাজের চাপও হালকা হয়ে যাবে। বসের গালমন্দও মনকে খুব একটা ছুঁয়ে যাবে না। কিন্তু , নিশ্চই আপনি ভাবছেন , এ কেমন গালগপ্পো? না মোটেই গল্প নয়। একেবারে সুবর্ণ সুযোগ। ওয়ার্ক ফর্ম পাহাড়।
এমন উদ্যোগ উত্তরাখণ্ডের পর্যটন দফতরের। রাজ্যের বিভিন্ন বিভিন্ন মনোরম পর্যটন কেন্দ্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেন’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাজ করেও ছুটির আমেজ উপভোগ করার এই সুবিধার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়ার্ককেশন’।
এই বিষয়ে উত্তরাখণ্ড পর্যটনের সচিব দিলীপ জাওয়ালকর বলেছেন, ‘‘ছুটি কাটানোর সব থেকে আধুনিক ধারণা হল এই ওয়ার্কেশন। কোভিড অতিমারিতে বাড়ি থেকে কাজ করার যুগে এই সুযোগ আনছে উত্তরাখণ্ড সরকার। ছুটিতে এসেও যাতে অফিসের কাজ করা যায়, সে জন্যই এই উদ্যোগ।”
জিম করবেট উদ্যান, ল্যান্সডাউন, মুসৌরি, কৌশানি, দেহরাদুন, নৈনিতাল, আলমোড়ার মতো জায়গার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মধ্যেই কাজ করতে পারবেন পর্যটকরা, এমনই জানাচ্ছে পর্যটন দফতর। এই সব জায়গার বিভিন্ন হোমস্টে, হোটেল ও রিসর্টে কম খরচেই ওয়ার্ককেশনের সুবিধা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন জাওয়ালকর।
সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ পরিষেবা ও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। কাজ করার ফাঁকে যাতে ঘুরতে যাওয়া, বাইকিং, ট্রেকিং করা যায়, সেই সব ব্যবস্থাও থাকবে পর্যটন বিভাগের তরফে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন পেশাদার এই ওয়ার্ককেশনের প্যাকেজ নিয়ে খোঁজ নেওয়া শুরু করেছেন বলে জানাচ্ছেন সেখানকার হোমস্টে ও হোটেল মালিকরা। এই ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে রাজ্য পর্যটনের সুদিন আবার ফিরবে বলে মনে করা হচ্ছে।