করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মে আসার আর্জি ‘হু’ এর
নিজস্ব প্রতিবেদন, দিন দিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় গোটা বিশ্ব। কিন্তু কবে আসবে সেই টিকা? অনেকে বলছেন, এ বছর শেষ হওয়ার আগেই টিকা এসে পড়বে বাজারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু চেষ্টা করছে, যাতে ওই টিকা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।করোনা ভ্যাকসিন তৈরির জন্য দিন – রাত পরিশ্রম করছে বিজ্ঞানীরা।
এবার ‘হু’ কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মে এসে করোনা টিকা তৈরিতে সাহায্য করার আর্জি জানাচ্ছে। হু জানিয়েছে, গোটা বিশ্বের ১৫০-র বেশি গোষ্ঠী করোনা টিকা তৈরির কাজে কোমর বেঁধে নেমেছে। একেবারে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে ওষুধ কোম্পানিগুলি, তারা হল মডার্না থেরাপিউটিক্স ইনকর্পোরেটেড, ক্যানসাইনো বায়োলজিক্স, ফিজারবায়োএনটেক ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।সকলে মাইল চেষ্টা করলে টিকা তৈরি দ্রুত সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে এপ্রিলে।
আন্তর্জাতিক এই মঞ্চের কাজ হল টিকা তৈরি, প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড়, গোটা বিশ্বের মেধাবী চিকিৎসক-বিজ্ঞানীদের থেকে তাঁদের অভিজ্ঞতা সম্পর্কিত তথ্য জোগাড় করা, টিকা সংক্রান্ত কাজ কোন দেশে কেমন এগোচ্ছে, তার খবর নেওয়া।এখনও পর্যন্ত ৭৫টি দেশ কোভ্যাক্সে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, এ জন্য অর্থ দিতেও তারা আগ্রহী, বদলে উপযুক্ত সংখ্যক করোনা টিকার ডোজ সেই সব দেশে ঠিক সময়ে পৌঁছে যাবে।এই টিকা প্রথমে যাবে মাঝারি ও স্বল্প আয়ের দেশগুলিতে, যেগুলিতে উন্নত মানের স্বাস্থ্য পরিষেবা এখনও তেমন পৌঁছয়নি।কোভ্যাক্স চিহ্নিত করবে যেসকল গবেষক সংস্থাগুলির সফল হওয়ার সম্ভাবনা সব থেকে বেশি। সঠিক গবেষণা ও অর্থের দ্বারা টিকা তৈরী করে বিশ্বের প্রতিটি কোনায় পৌঁছে যাবে করোনা প্রতিষেধক।