গোটা বিশ্বে আক্রান্ত দুই কোটিরও বেশি, মৃত প্রায় সাড়ে সাত লক্ষ, ঠিক এইরকম অবস্থাতে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন ওরফে হু নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশেই নিজের ভ্যাকসিন নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। চীন, রাশিয়া, ভারত, আমেরিকা ও ব্রিটেন নিজেদের ভ্যাকসিন নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। বেশ কিছু ওষুধ নিয়েও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা, এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে হু প্রধান ট্রেডস গাব্রিয়েসস জানান “মৃতের পরিসংখ্যানের আড়ালে অনেক যন্ত্রণা এবং কষ্ট রয়েছে, তবে যেকোনো সময় আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি”।
তবে শত কষ্টের আড়ালেও সাবধানতা বজায় রাখার লক্ষ্যেই আসল, কারণ সাবধানতা সরলে এই মহামারী চূড়ান্ত আকার নিতে পারে বলে সাবধান করেছে হু প্রধান। মাস্ক ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনো, নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি বজায় রাখা কিংবা বারংবার হাত ধোয়া, এই মুহূর্তে এই অভ্যাসগুলো আরো চরম ভাবে পালন করার জন্য ডাক দিয়েছেন হু প্রধান। ট্রেডস এর মতে বিশ্বের বাকি দেশগুলোর উচিত নিউজিল্যান্ড মডেল লক্ষ করে এগোনো। বাকি বিশ্বের সমস্ত দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ড যেভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে তা প্রশংসার যোগ্য। এই সোমবার থেকেই নিউজিল্যান্ডের বেশ কিছু পর্যটন স্থল যেমন কুকু আইল্যান্ড খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর সংস্থার ওয়েবসাইটে রাশিয়ার ভ্যাকসিনটিকে এখনো পরীক্ষার প্রথম পর্যায়ে দেখানো হয়েছে, যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মন্তব্য অনুযায়ী ভ্যাকসিনটি তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যই করেননি হু প্রধান।