পেশায় ফল বিক্রেতা এদিকে মুখে চোস্ত ইংরেজি, ডিগ্রি মেটেরিয়ালস সায়েন্সে পিএইচডি!

পেশায় ফল বিক্রেতা এদিকে মুখে চোস্ত ইংরেজি, ডিগ্রি মেটেরিয়ালস সায়েন্সে পিএইচডি!

নিজস্ব প্রতিবেদন, পেশায় ফল বিক্রেতা কিন্তু মুখে চোস্ত ইংরেজি। এমনই একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায় ফল বিক্রেতা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে ফল বিক্রি করতে করতে লকডাউনে যেসব সমস্যা হচ্ছে, সেগুলি বলছেন। পাশাপাশি পুলিশ কীভাবে উত্যক্ত করছে, সে নিয়েও বেশকিছু কথা তিনি বলেন। তারপরই তাঁর অতীত জীবনের একটি কথা তিনি শেয়ার করেন, যা বেশ অবাকজনক। তিনি বলেন, রাইসা বেলজিয়ামে গবেষণার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাঁর যাওয়া হয়নি।

৩৬ বছরের এই রাইসার ইচ্ছে ছিল বিজ্ঞানী হওয়ার। মেটেরিয়ালস সায়েন্স নিয়ে পিএইচডি করেছেন তিনি। সিএসআইআর ফেলোশিপে আইআইএসইআর কলকাতায় গবেষণা করছিলেন তখন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর এক সিনিয়র কাজ করছিলেন বেলজিয়ামের একটি রিসার্চ প্রজেক্টে। তাঁদের রিসার্চ হেড রাইসাকে সেখানে যোগ দিতে ডাকেন, অফার লেটারও পাঠান। কিন্তু তাঁর পিএইচডি গাইডের এ ব্যাপারে সম্মতি দরকার ছিল। তিনি কাগজপত্রে সই করতে অস্বীকার করেন। ফলে বেলজিয়ামে গিয়ে গবেষণা করার সুযোগ রাইসার হাতছাড়া হয়ে যায়। আশাহত হয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন তিনি। এমনই সব কথা তিনি বলেন।

তাঁর মতে, হয়তো ধর্মের কারণেই তিনি কাজ পাননি তবে ভারতীয় হিসেবে তিনি গর্বিত। এখনও যদিও কাজ খুঁজছেন তিনি। রাইসার পরিবারে প্রায় ৫৫-৬৫ বছর ধরে ফল বিক্রির ঐতিহ্য রয়েছে, এমনই দাবি করেন তিনি। বাবা মারা যাওয়ার পর সব দায়িত্ব তাঁর হাতেই দিয়ে যান। যে দেবী অহল্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাইসা পড়তেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের অধ্যাপক রাজকুমার চৌহান তাঁকে চিনতেও পেরেছেন। এ বিষয়ে তিনিও এক মত। রাজকুমার জানিয়েছেন, “তিনি উজ্জ্বল ছাত্রী ছিলেন, খাটতেনও প্রচুর। তাঁর মেয়ের বিয়েতে ফলের ঝুড়ি পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু কেন তিনি ফলের ব্যবসায় যোগ দিলেন তা তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়”।

Leave a Comment