করোনা টেস্টে শীর্ষে আমেরিকা, দ্বিতীয় স্থানে ভারত

করোনা মহামারী গোটা বিশ্বের চিত্র পাল্টে দিয়েছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো রীতিমতো লড়াই করছে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা যে তার শীর্ষে রয়েছে সেটা আর কাউকে বলে দিতে হবে না। করণা মহামারী রুখতে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকার ব্যর্থ হয়েছেন বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এছাড়াও বর্ণবৈষম্যের আন্দোলন নিয়ে আমেরিকা জর্জরিত। এরকম পরিস্থিতির মধ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন নিজের দেশকে এবং ভারতকে একটি শংসাপত্র দিল। গোটা বিশ্বের সবথেকে বেশি করোনার টেস্ট হয়েছে আমেরিকাতে প্রায় চার কোটি কুড়ি লক্ষ, আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত যেখানে টেস্ট হয়েছে এক কোটি কুড়ি লক্ষ মানুষের।

গোটা বিশ্বের সংক্রমণ প্রায় দেড় লাখের কাছাকাছি, এবং মারা গিয়েছেন প্রায় 6 লাখ মানুষ। করোনার হিসেবের নিরিখে অবশ্যই শীর্ষে রয়েছে আমেরিকা, যেখানে আক্রান্ত 36 লক্ষ নাগরিক এবং মৃত্যুর সংখ্যা ১ লক্ষ ৪১ হাজার। গোটা দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে ট্রাম্প সরকারের সমালোচনা করা হচ্ছে করোনা মোকাবিলায় ডাহা ফেল করার জন্য, তারমধ্যে আজকে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে প্রেসসচিব কেলি মেকনানি এই সংখ্যা তত্ত্বের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন ট্রাম্প সরকার বিশ্বের যেকোন দেশের থেকে টেস্টিং এর দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে, এবং আমেরিকার সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে এরপরে টেস্টিং এর দিক থেকে আছে ভারতের স্থান।

অবশ্য এমন কথা ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও আগে বলেছেন। করো না গোটা বিশ্বে সরানোর জন্য তিনি চীনকে বারবার দুষে এসেছেন, যদিও উপযুক্ত তথ্য প্রমাণের অভাবে এখনো অব্দি চীনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতে আমেরিকায় সংক্রমণের হার বেশি তার কারণে আমেরিকাতে গোটা বিশ্বের তুলনায় পরীক্ষা হচ্ছে সবথেকে বেশি, তিনি বলেন “অন্যান্য দেশে যদি আমেরিকার মতন পরীক্ষা করা হতো, তাহলে সেসব দেশের আসল চিত্র সম্পর্কে গোটা বিশ্ব জানতে পারত”।

ট্রাম্প প্রশাসন জানান ২০০৯ সালে ওবামার জমানায় হঠাৎ করে এইচ১এন১ ফ্লু এর প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল, কিন্তু ভাইস প্রেসিডেন্ট বাইডেনের চিফ-অফ-স্টাফ সেই সময় পরীক্ষা ও সংক্রমিতের সংখ্যা গণনার কাজটি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু এক্ষেত্রে ট্রাম্প প্রশাসন সেরকম কোন কাজই করেনি বরং প্রতিটি খবরকে দেশের সামনে তুলে ধরেছেন, এবং সংখ্যাতত্ত্ব সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখা হয়েছে।

ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় যে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার এর লক্ষ্যে ১৩ টি গবেষণা চলছে।

এক্ষেত্রে উল্লেখ্য বিশ্বের যে কয়টি ভ্যাকসিন করোনার প্রতিষেধক তৈরীর ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে সেরা অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন “চাডক্স” সোমবার তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করবে। করোনার প্রতিষেধকে ভারতও অনেকটাই এগিয়ে আছে। এদেশের দুটি ভ্যাকসিন হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে।

Leave a Comment