করোনার প্রথম ধাক্কা সামলে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল আমেরিকা। কিন্তু শীতের শুরুতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আর তার সাথে ফ্লু সিজন গোটা দেশের পরিস্থিতি পাল্টে রেখে দিল। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের দৈনিক সংক্রমণ ১ লক্ষ ছাড়াতে পারে বলে অনুমান করছে আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ কন্ট্রোলার বিভাগের প্রাক্তন কমিশনার স্কট গালিব।
আমেরিকায় গত সাত দিনে দৈনিক হিসেবে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৭৪ হাজার জন। সংক্রমনের হিসেবে এখনো শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র। তার মধ্যে প্রেসিডেন্সীয়াল ইলেকশন কে কেন্দ্র করে প্রচুর পরিমাণে জমায়েত অনুষ্ঠিত করা হয়েছে আর সেগুলো কাজ করেছে করোনা হটস্পট এর মত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভাষণ অনুযায়ী ১ নভেম্বরে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। আমেরিকায় সংক্রমণ বাড়ার জন্য বিশেষজ্ঞরা মার্কিন সরকার এবং নাগরিকদের দায়ী করেছেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ এলার্জি এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজ এর প্রধান এন্টনি ফাওচির মতে ” আমেরিকাকে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে এখনো দুবছর সময় লাগবে”।
ইউরোপেও করোনার তীব্র সংক্রমণ বহাল তবিয়তে জারি রয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন বুধবার জানান যে তারা শুক্রবার থেকে পহেলা ডিসেম্বর অবধি লকডাউন করতে চলেছে। জার্মানীয় খুব শীঘ্রই লকডাউনের রাস্তায় হাঁটতে চলেছে। ব্রিটেনের জানিয়েছে এই মুহূর্তে তারা লকডাউন করবে না কিন্তু পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে, প্রয়োজনে আবার লাগু করতে হবে লকডাউন।