হিউস্টনের চিনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ ট্রাম্পের

করোনা ভাইরাস নিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোর আগে থেকেই চলছিল। ট্রাম্প সরকার বহুদিন ধরেই চীনকে সরাসরি দোষ দিয়ে আসছে করোনা সংক্রমণ পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। যদিও চীনের বক্তব্য এই দাবি ভিত্তিহীন, তারমধ্যে হংকং তাইওয়ান ও ভারতের সাথে চীনা আগ্রাসন নীতি এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের অবৈধ উপস্থিতি এবং দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আমেরিকা ও চীনের সম্পর্ক যথেষ্ট পরিমাণে খারাপ হয়েছে। এর মধ্যেই হিউস্টনের চীনা দূতাবাস শুক্রবারের মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাম্প সরকার। এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে চীন ট্রাম্পকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র মর্গান অর্টাগুস জানান “আমেরিকার গোপন তথ্য এবং ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি সুরক্ষিত রাখার জন্যই এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এবং চীন আমেরিকার সার্বভৌমত্ব ভঙ্গ করেছে যা কখনোই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়”। হিউস্টন ছাড়াও আমেরিকাতে চীনের আরো পাঁচটি দূতাবাস রয়েছে, কিন্তু হিউস্টনের দূতাবাসটিকেই কেন বন্ধ করা হলো সেটা এখনো পুরোপুরি স্পষ্ট নয়।

আমেরিকার এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে চীন জানিয়েছে এরকম ধরনের ঘটনা দুটি দেশের মধ্যে উত্তেজনা তীব্রভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে এবং কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কেও টানাপোড়েন আসতে পারে। চীনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াঙ ওয়েনবিন বিষয়টি আরেকবার ভেবে দেখার জন্য আমেরিকাকে অনুরোধ করেছেন।

মঙ্গলবার ওই হিউস্টনে দূতাবাসের পিছন দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়, যা অনেক প্রত্যক্ষদর্শীরা ক্যামেরাবন্দিও করে, ওতে দেখা গেছে দূতাবাসের পেছনে থাকে একটি ডাস্টবিনে কাগজ ফেলে তাতে আগুন জালানো হচ্ছে। এবং পরে তারা জল দিয়ে সেই আগুন নিভিয়ে দেয়। এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে তাদের দূতাবাসে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয় না। অবশ্য চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের বয়ানে এই ঘটনার কোন উল্লেখ পাওয়া যায়নি।

Leave a Comment