এল সি তে চীনা দৌরাত্বে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র

চীনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে বরাবরই সড়ব আমেরিকা। ভারত চীন সীমান্ত থেকে শুরু করে দক্ষিণ চীন উপসাগর, সমস্ত ক্ষেত্রেই চিনা আগ্রাসনে রীতিমতো বিরক্ত হোয়াইট হাউস। তবে সম্প্রতি ভারত-চীন সম্পর্কের তিক্ততায় এশিয়া মহাদেশে বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়েছে বলেই মনে করেন হোয়াইট হাউসের কর্তারা। সম্প্রতি মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও চীনের আগ্রাসন নীতি নিয়ে রীতিমতো চিন্তা প্রকাশ করেন।

আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন জানান ” এলসি বরাবর প্রায় ৬০ হাজার সেনা এবং বহু অত্যাধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে চীন, মুখে আলোচনার কথা বললেও, আলোচনার মাধ্যমে শান্তির বার্তা ছড়াতে তারা মোটেও রাজি নয়”। চীনের এই গায়ের জোড়ামি মনোভাব আমেরিকাতে ভালো চোখে দেখছে না সেটা এদিন স্পষ্ট করে দেওয়া হয়।

আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের সম্মিলিত কোয়াড গ্রুপের একটি বৈঠকে এদিন টোকিও গিয়েছিলেন মাইক পম্পেও। সেখানে লাদাখ পরিস্থিতি এবং প্রশান্ত মহাসাগরে অঞ্চলে চীনের আগ্রাসন নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেন তিনি। ভারতের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট দাবি করেন ” চীন গায়ের জোরে লাদাখ সীমান্তের দখল নিতে চাইছে, শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়াতে চীনের কোন ইচ্ছে আছে বলে মনে হয় না, তারা মুখে শান্তির কথা বললেও সীমান্তে তাদের সেনা মোতায়ন দেখে মনে হয় তারা গায়ের জোরেই বেশি আগ্রহী”।

রবার্টের মতে ” চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মিত্রশক্তি গুলোর এখন একসাথে লড়ার সময় এসেছে, সমস্ত জায়গায় তাদের গা-জোয়ারি সহ্যের বাইরে”। চীনের হ্যাকিং এর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ভারত,আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া সহ বেশ কয়েকটি দেশ চিনা টেলিকম সংস্থা হুয়াউই-এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বাতিলের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে চাইনিজ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত বেজিংয়ের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কোনো মন্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।

Leave a Comment