হোয়াইট হাউস আগেই জানিয়েছিল যে ভারত-চীন সম্পর্কের উপর তারা কড়া নজর রাখছে, এবার চীনের আগ্রাসন নীতি বাড়ার ফলে মার্কিন প্রশাসন নিতে চলেছে এক কড়া পদক্ষেপ। সম্প্রতি মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও জানান চীনের আগ্রাসন ঠেকানোর জন্য মার্কিন সেনা ইউরোপ থেকে সরিয়ে বিশ্বের অন্যত্র বাড়ানো হচ্ছে, তিনি আরো বলেন যে বর্তমানে চীনের আগ্রাসন নীতির প্রভাবে যেভাবে ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্সের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চীন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে তাতে পিপলস লিবারেশন আর্মির বিরুদ্ধে যথাযথ মোকাবিলার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিতে হবে।
মাইক পম্পেও খুব স্পষ্ট করেই বলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশেই এ মতো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তিনি জানান ভারত ও মালয়েশিয়ার মতো বেশ কিছু দেশের কাছে চীনা আগ্রাসন চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে তাই আমেরিকা চাইছে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে যাতে প্রয়োজনে চীনকে ঠেকানো যায়। আমেরিকা ইউরোপে নিজেদের সেনা সংখ্যা কমিয়ে এশিয়ায় বাড়াচ্ছে, এবং এর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে জার্মানিতে মার্কিন সেনা সংখ্যা ৫২ হাজার থেকে কমিয়ে ২৫ হাজার করা হচ্ছে। পম্পেও জানান বাস্তব পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই হোয়াইট হাউজের এই পরিকল্পনা।
পম্পেও জানান ” চীনের কমিউনিস্ট পার্টির দৌরাত্ম্যের জন্য শুধু যে ভারত-চীন লাদাখ সীমান্তে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তাই নয় ফিলিপিনস, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়াসহ এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সাথে তাদের আগ্রাসনের ফলে গোটা এশিয়া জুড়ে স্থিতাবস্থার ব্যাঘাত ঘটেছে। চীনের আগ্রাসন নীতির ফলে বিশাল বড় প্রভাব পড়েছে দক্ষিণ চীন সাগরেও। এইসব কথা মাথায় রেখেই মার্কিন সেনাকে নতুনভাবে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, তবে আমরা যা করব তা এই দেশগুলোর সাথে আলোচনা করেই করবো “।
বস্তুত প্রথম থেকেই ভারত চীন সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকা যথেষ্ট পরিমাণে চিন্তা প্রকাশ করেছে এবং হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে অনেকবার মধ্যস্থতা করার কথাও বলা হয়েছে। কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক বক্তব্যে তিনি জানিয়েছিলেন লাদাখ সীমান্তে চীন যেটা করছে সেটা অন্যায়।