সম্প্রতি উইঘুর মুসলিমদের অত্যাচারের প্রতিবাদে সরব হয়েছে আমেরিকা। দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের জন্য তৈরি করা হয়েছে ডিটেনশন ক্যাম্প, বিদেশি সংস্থাগুলির সমীক্ষা মতে জানা যাচ্ছে প্রায় ১০ লক্ষ উইঘুর মুসলিম কে আটকে রাখা হয়েছে ওইসব ডিটেনশন ক্যাম্পে। মতের বিরুদ্ধে তাদের নির্বীজকরণ থেকে শুরু করে উইঘুর মহিলাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার, সমস্ত কিছুই সেখানে চালানো হচ্ছে। উইঘুর মহিলাদের মাথা মুড়িয়ে সেই চুল দিয়ে কেশসজ্জার নানা সামগ্রী তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে, মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও গত জুন মাসে তার একটি বিবৃতিতে চীনের উইঘুর মুসলিমদের প্রতি হওয়া এই অত্যাচারের কথা তুলে ধরেছিলেন। সম্প্রতি মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন একটি ভার্চুয়াল সামিটে বলেন
” চীন প্রশাসন শিনজিয়াং প্রদেশে এ যা করছে তা গণহত্যারই সমান”। চীনের আগ্রাসন নীতির সমালোচনা করার পাশাপাশি তিনি, চীনে সংখ্যালঘুদের উপর হওয়া প্রতিনিয়ত এই অত্যাচারের প্রতিবাদ করেন।
চীনের উপর গণহত্যার আরোপ তোলা, মার্কিন প্রশাসনের পক্ষে এই প্রথম। রবার্ট বলেন ” উইঘুর মুসলিমদের সাথে যা হচ্ছে তা গণহত্যার সমান, তাদেরকে বেঁচে থাকার ন্যূনতম অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে, শিনজিয়াং প্রদেশে চীন প্রায় ১০ লক্ষ গুণ মুসলিমকে আটকে রেখেছে, প্রতিদিন সেখানে মানবাধিকার লংঘন করা হচ্ছে”।
সেপ্টেম্বর মাসে অস্ট্রেলিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সংস্থা তারেক রিপোর্টে দেখায় যে শিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার মসজিদ ধ্বংস করেছে চীন এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের তাদের নিত্যনৈমিত্তিক আচার বিধি থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত করে চলেছে। যদিও চীনের কমিউনিস্ট সরকার এই রিপোর্টে তোলা অভিযোগকে নস্যাৎ করেছে।