পুজোর সময় করোনার ত্রাস থাকা সত্ত্বেও যত দিন যাচ্ছে তত মনে আরও আশা হচ্ছে এবার হয়তো সদর্থক দিকে এগোচ্ছি, এবার হয়তো কাটবে অন্ধকার সময়, বেরিয়ে পড়তে পারব ঝুলি টা নিয়ে। করোনাকে মাথায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছুদিন আগেই সাত মাস পর খুলে গেছে হিমালরের দেশ দার্জিলিং, সিকিম। উৎসবের মরশুমে এমন খবর পেয়েই আগে ভাগেই সকলে টিকিট কেটে পাহাড়কে অন্য বছরের মতো এবারও করেছে হাউসফুল। এবার সিংহদুয়ার খোলা হলো অযোধ্যা পাহাড়ের। নিজের রাজ্যে পুজোর মধ্যে টুক করে ঘুরে আসার জন্য পুরুলিয়ার অযোধ্যা যেন বুক ভরে আমন্ত্রণ জানায়। সংক্রমণ এড়াতে পুরুলিয়ার সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি হোটেল, লজ, রিসর্ট, গার্ড ও পর্যটন শিল্পের সাথে যুক্ত সমস্ত ব্যাক্তিদের করোনা পরীক্ষা করা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এর উদ্দেশ্য একটাই যে অন্য বছরের মতো যেন এবছর ও ভীতি এড়িয়ে, মন খুলে পাহাড়ে আনন্দ করে পা রাখে সকলে। এতে পাহাড়ের এই দীর্ঘদিনের ব্যাবসার মন্দা অবস্থার ও উন্নতি হবে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অযোধ্যা হিলটপে একটি শিবির আয়োজন করে মোট ১১৩ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়, এবং অত্যন্ত ভালো খবর হলো তারা সকলেই নেগেটিভ। এছাড়াও বাগমুন্ডি ব্লকের সমস্ত পুজো কমিটিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পুজো সম্পন্ন করতে বলে জেলা প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক রাহুল মজুমদার বলেন, এই পাহাড়ের প্রধান আয়ের উৎস হলো পর্যটন। গ্রামীণ অর্থনীতিও এর ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে আছে। তাই যাতে এই সিজিনে ব্যাবসায় মন্দা না যায় সেই ভেবেই এই কাজের সাথে যুক্ত সকলের অ্যান্টিজেন টেস্ট করানো হয়েছে। এতে পর্যটকদের ভীতি যেমন কমবে অন্যদিকে ব্যাবসারও কোন অসুবিধা হবে না।
বিগত বছর গুলির দিকে ফিরে তাকালে জানা যায় এই পুজোর মরশুমে হাউসফুল থাকে এই পাহাড় তাই এ বছরও যাতে তার অন্যথা না হয় তাই জেলা প্রশাসনের এই উদ্দ্যোগ। এতে ব্যাবসায়ী রাও খুব খুশি। তাহলে ব্যাগে জামা কাপড় আর স্যানিটাইজার নিয়ে ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন পুরুলিয়ার অযোধ্যায়।