পরীক্ষার্থীদের জন্য ইউজিসির গাইডলাইন, ২ ঘন্টার মধ্যে জমা দিতে হবে উত্তরপত্র
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা আবহে বাড়ি বসেই পরীক্ষা দিতে হবে পরীক্ষার্থীদের। স্থগিত করা সমস্ত পরীক্ষা এবার একে একে নেওয়া হচ্ছে। সেই মতন এবার অনলাইনে তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হবে দু’ঘণ্টা। উত্তরপত্র জমা দেওয়ার জন্য মিলবে আরও ৩০ মিনিট। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিয়ে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে বৈঠকে সে কথা জানিয়ে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ।
কথা ছিল, মেল ও ওয়েবসাইট এবং হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা নিজেদের প্রশ্নপত্র পাবেন। এরপর অনলাইনেই উত্তরপত্র জমা দিতে হবে। এবং যে পড়ুয়াদের অনলাইনে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার বন্দোবস্ত নেই, তারা উত্তরপত্রের হার্ডকপি সংশ্লিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে জমা দিতে পারে। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি ২৪ ঘন্টার মধ্যে করতে হবে।
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নিতেই হবে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের এই নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের সিলমোহর পড়তেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পরীক্ষা প্রস্তুতির তোড়জোড় শুরু হয়। শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নিজেদের পরীক্ষাসূচি স্থির করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে মত দেয়।
তবে ইতিমধ্যেই সোমবার বৈঠকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ইউজিসির নিয়ম মেনে বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। প্রশ্নের সংখ্যা কম থাকবে। থাকবে না এমসিকিউ। পরীক্ষা শুরুর ৩০-৪৫ মিনিট আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের প্রশ্নপত্র পাঠানো হবে, এরপর কলেজের ওয়েবসাইটে সেই প্রশ্নপত্র আপলোড করবে শিক্ষকরা। পরীক্ষার্থীদের A4 পৃষ্ঠাতেই উত্তর লিখতে হবে। নিজের রেজিস্ট্রেশন নম্বর, রোল নম্বর, পৃষ্ঠা সংখ্যা লেখা বাধ্যতামূলক।
সোমবার ১৫২টি কলেজের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তারপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কলেজগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আগামী ১ থেকে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে হবে পাস এবং অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা। পরীক্ষার সময় সীমা ২ ঘণ্টা। প্রশ্নপত্র ডাউনলোড ও উত্তরপত্র আপলোড করার জন্য ১৫ মিনিট করে মোট ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ পরীক্ষার জন্য মোট আড়াই ঘণ্টা সময় দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীদের।
অবশ্য এই নির্দেশের পরেও উঠছে প্রশ্ন। গ্রামীণ এলাকার ছাত্র-ছাত্রীদের সবার বাড়িতে যে অনলাইনেই পরীক্ষার সব ব্যবস্থা থাকবে, সেটা নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। এইরকমের সমস্যা হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে উত্তরপত্র নিয়ে আসার জন্য কর্মীদের ব্যবস্থা রাখতে হবে কলেজগুলিকে। তবে সেটা কাজে পরিণত করা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।