মারধর করে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপন আটকানোয় বদলি করেদিল দুই পুলিশ আধিকারিককে

মারধর করে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপন আটকানোয় বদলি করেদিল দুই পুলিশ আধিকারিককে

নিজস্ব প্রতিবেদন, চলছিল রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠান। বাজি ফাটিয়ে চলছিল তারই উদযাপন। লকডাউনে এরূপ উদযাপন করায় কয়েকজন যুবককে মারধর করে পুলিশ। তার জেরে মধ্যপ্রদেশ সরকার এক পুলিশকর্তা এবং এক প্রশাসনিক আধিকারিককে খারগোনে জেলা থেকে সরিয়ে দিল।

বিজেপি নেতাদের প্রতিবাদের ভিত্তিতে মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) গ্ল্যাডউইন এডওয়ার্ডকরকে পুলিশের সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে এবং মহকুমা শাসক অভিষেক গেহলটকে রাজ্যের সচিবালয়ে বদলি করা হয়েছে।জানা গিয়েছে, বাজি ফাটিয়ে সারাফা বাজারে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপন করছিলেন কয়েকজন যুবক। দু’জন আধিকারিক-সহ পুলিশের একটি দল মারধর করে। বাজেয়াপ্ত করা হয় বাজি।এই মারধরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দোকান বন্ধ রাখেন শহরের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্বর্ণ সমিতির বল্লভ ভাণ্ডারী জানায়, “কোনও জনপ্রতিনিধি আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। (পরে) ৫০০-৭০০ জন থানায় গেলে তাঁদের (১০-১১ জনকে) ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন এবং পুলিশের পদক্ষেপে উৎসাহিত হয়ে রাতে এলাকায় বাইকে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এবং কয়েকজনের উপর হামলা চালিয়ে তাঁদের আহত করে। কিন্তু সেই ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।”

পুলিশ আধিকারিকদের বদলির স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করে বিজেপি শাসিত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, “প্রাথমিকভাবে মহকুমা শাসক এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তাই তাঁদের বদলি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ করছে সরকার।” এ বিষয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘অনুষ্ঠানের সংবেদনশীলতার জন্য শহরে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। খারগোনে এমনিতেই যথেষ্ট সংবেদনশীল এলাকা। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হত, তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বড়সড় দ্বন্দ্ব হত।’

Leave a Comment