প্রতিষেধকের খবর দিতে মরিয়া ট্রাম্প

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদ সামলানোর পর থেকেই বিভিন্ন দাবি-দাওয়া এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প তার মধ্যে যেমন আছে দুসপ্তাহে কর সংস্কারের কথা আবার তেমনই আছে আমেরিকার নাগরিকদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে মেক্সিকোতে প্রাচীর তৈরির কথা তবে এবারের দাবিটা একটু আলাদা। গোটা বিশ্ব করোনা মহামারীর আক্রমণে নাজেহাল, তাই এবার ট্রাম্প করোনার দাওয়াই হিসেবে প্রতিষেধক টিকা নিয়ে আসছে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন আর দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনার প্রতিষেধক পেতে চলেছে আমেরিকার নাগরিকরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর ১০০ দিনও বাকি নেই, এদিকে তার প্রতিদ্বন্দ্বি জো বাইডেনের জনপ্রিয়তা যেভাবে বাড়ছে তাতে যথেষ্ট চাপে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সেই কারণেই মনে হয় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং করোনার প্রতিষেধকের ট্রাম্পকার্ড খেলতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আমেরিকার বায়োটেকনোলজি সংস্থা মডার্না এবং ফাইজার তাদের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ক্যান্ডিডেটের চূড়ান্ত পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করেছে। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী অংশ নেবেন এতে, এবং সাফল্য মিলতে চলতি বছরের শেষেই বাজারে আসবে এই ভ্যাকসিন গুলো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এতটা তাড়াহুড়ো করা ঠিক নয়, বিশেষ করে যখন একটি ভ্যাকসিন তৈরিতে একাধিক বছর সময় লাগে সেখানে করোনার মতন মহামারির ভ্যাকসিন এত তাড়াতাড়ি বাজারে ছাড়তে গেলে তাতে টেস্টিংয়ের গলদ আসতে পারে। আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ এর সাথে জোট বেঁধেছে এই দু’টি মার্কিন বায়োটেকনোলজি সংস্থা। সরকারি তরফ থেকে ট্রাম্প প্রশাসন মডার্না কে ১০০কোটি ডলার এবং ফাইজার কে ২০০কোটি ডলার আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছে, এবং চুক্তি অনুযায়ী তোর আমেরিকার সরকারকে পাঁচ কোটি ডোস দিতে বাধ্য।

এদিকে আমেরিকার মৃত্যু-মিছিল বেড়েই চলেছে। দেড় লক্ষ ছাড়িয়েছে মোট মৃতের সংখ্যা, এমত অবস্থায় সরকার লকডাউন তোলার প্রতি আরো ধ্যান দিচ্ছে। স্কুল কলেজ খোলার প্রতিও ট্রাম্প সরকার আগ্রহ দেখাচ্ছে। হোয়াইট হাউজের দাবি অনুযায়ী ভ্যাকসিন তৈরি করাই তাদের মূল প্রাধান্য।

তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী মার্কিন প্রদেশে সংক্রমণে এখনো কোনো ঘাটতি আসেনি তাই এর মধ্যে লকডাউন তুলে দেওয়া বা স্কুল-কলেজ খোলা একটি ঐতিহাসিক ভুল পদক্ষেপ হতে পারে কারণ লকডাউন তুললে স্বাস্থ্যবিধি মানা অনেক কঠিন হয়ে পড়বে এবং এর ফলে সংক্রমণের ঝড় থেকে দেশকে বাঁচানো ভয়ানকভাবে কঠিন হয়ে যাবে।

Leave a Comment