কিছুদিন আগেই করোনা সংক্রমনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হাস্পাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল, ভোট প্রচার করার সময় তিনি এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প একসাথে করোনায় আক্রান্ত হন। হালকা শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি, এছাড়া তার শারীরিক ওজন এবং বয়সের কথা মাথায় রেখে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু মাত্র ৩ দিন কাটানোর পরই নিজেকে সুস্থ্য বলে দাবি করেন তিনি।
কাল হঠাৎ করেই হাসপাতাল পর্ব চুকিয়ে মেরিন ওয়ান হেলিকপ্টারে করে হোয়াইট হাউজের লনে অবতরণ করলেন তিনি। হিসেব অনুযায়ী তার এখনো ১০ দিন সম্পূর্ণ কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা, কিন্তু নিয়মের তোয়াক্কা না করেই তিনি বলে বসলেন
” করোনাকে মাথায় চড়তে দিলে হবে না, জানি এটা ভয়ের ব্যাপার, কিন্তু এর মধ্যেই সমস্ত কিছু করতে হবে”।
হেলিকপ্টার থেকে নেমে হোয়াইট হাউসের লন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ভক্তদের উদ্দেশ্যে ছুড়ে দিলেন জোড়া থামস আপ। মুখে পড়া সার্জিক্যাল মাস্কটিও এলোমেলো ভাজ করে ঢুকিয়ে নিলেন পকেটে।
ডাক্তারদের কথা অনুযায়ী তার শরীরে এখনো করোনার সংক্রমণ বিদ্যমান। কিন্তু শুধুমাত্র ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে এত বড় ঝুঁকি নেওয়ায় রীতিমত হতবাক বিশেষজ্ঞরা।এখনো করোনার ওষুধ রেমডেসিভিআর এর চূড়ান্ত ডোস বাকি। তার মধ্যেই তিনি বললেন ” খুব শীঘ্রই ভোট প্রচারে নামছি, এখন যথেষ্ট ভালো আছি, একই মাথায় চড়তে দিলে হবে না”।
হোয়াইট হাউসে ইতিমধ্যেই সংক্রমণ সংখ্যা অনেক বেড়েছে, তার মধ্যে কোন কোয়ারেন্টাইন না মেনে খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কীর্তিকলাপ যথেষ্ট ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিরোধী দলনেতা জো বাইডেন ইতিমধ্যেই প্রেসিডেন্টের আরোগ্য কামনা করে সুস্থতার বার্তা দিয়েছেন, এবং তার সাথে সমস্ত নাগরিককে সচেতন করেছেন করোনা সংক্রান্ত বিধি নিষেধ পুরোমাত্রায় মানার জন্য।
তবে জনপ্রিয়তার দিক থেকে জো বাইডেন যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে অনেক এগিয়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি সামলাতে যে বর্তমান শাসকদল ব্যর্থ হয়েছে তাতে কোনো দ্বিরুক্তি নেই। বর্ণবৈষম্যের আন্দোলনেও বারবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিদ্ধ করা হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশন, মনে করা হচ্ছে এইসব কথা ভেবেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জরুরিভাবে ফিরে এসেছেন হোয়াইট হাউসে।