প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটে ট্রাম্প-বাইডেন বিতর্ক

ক্লিভল্যান্ডে প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের প্রথম দিনে ট্রাম্প ও বাইডেন পরস্পরের প্রতি যথেষ্ট পরিমাণে কাদা ছোড়াছুড়ি চালালেন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রীতিমতো হোমওয়ার্ক করে এসেছিলেন এবং তার প্রতিপক্ষ জো বাইডেন কে কথায় পর্যুদস্ত করেছেন। বিশেষজ্ঞরা আগে থেকেই জো বাইডেন কে সাবধান করে রেখেছিল, বলা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার দিকে ব্যক্তিগত আক্রমণ চালাতে পারে কিন্তু সে ক্ষেত্রে জো বাইডেন কে নিরব থেকে অন্যভাবে ট্রাম্পকে আক্রমণ করতে হবে।

ক্লিভল্যান্ড ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতর্ক মঞ্চে জো বাইডেন মুখ খুলতেই কথায় কথায় তাকে আটকানোর চেষ্টা করেন ট্রাম্প। বাইডেনের ৯০ মিনিটের ভাষনে তাকে প্রায় ৭২ বার ব্যঙ্গোক্তি করেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকার ইতিহাসে এত কদর্য প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট এই প্রথম। জো বাইডেন মেজাজ হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বহুবার ক্লাউন, জোকার বলেও সম্বোধন করেন। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের মতে, একটি গোড়িমাময় বিতর্ক সভা হঠাৎ করে গলাবাজির আখড়া হয়ে দাঁড়ায়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যে জো বাইডেন কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করবেন তা আগে থেকেই বলে রেখেছিল বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে জো বাইডেন কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল যে মাথা ঠান্ডা রেখে ব্যক্তিগত আক্রমণ উপেক্ষা করে দেশের সামগ্রিক সমস্যাগুলো মানুষজনদের কাছে তুলে ধরার। কিন্তু ট্রাম্পের সাঁড়াশি আক্রমনের সামনে বাইডেনও হারিয়ে বসলেন নিজের মেজাজ।

একটি সম্প্রতি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রেসিডেন্সিয়াল ডিবেটের ওপর ভোটের ফল ঠিক সেইভাবে নির্ভর করছে না, কিন্তু এই ডিবেট দু’পক্ষকেই যোগ্যতা প্রমানের একটা শেষ সুযোগ দিত কিন্তু কেউই সেই দিকে পা বাড়ালেন না।

বিতর্কের সঞ্চালক ক্রিস ওয়ালস এক সময় জোড় হস্তে ট্রাম্পকে থামার জন্য অনুরোধ করেন, কিন্তু থামার মত কোন ইচ্ছেই ছিল না তাঁর। একসময় জো বাইডেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর বিরক্ত হয়ে হুবহু তাকে অনুকরণ করে বলে বসেন “উইল ইউ শাট আপ”।

বিতর্কের শেষে সভায় উপস্থিত দর্শকরা রীতিমত অবাক হয়ে যান। এত গলাবাজি এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ এর আগে কখনো কোনো প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেটে হয়নি। টুইটার এখন মুখরিত কোন ক্যান্ডিডেট কতটা নিচে নেমেছে তার আলোচনায়।

Leave a Comment