রাষ্টপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৩ কোটি নারী ও কিশোরী আধুনিক দাসত্বের শিকার

রাষ্টপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, প্রায় ৩ কোটি নারী ও কিশোরী আধুনিক দাসত্বের শিকার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বিশ্বের একেক দেশে একেক সময় অবলুপ্ত হয়েছে দাসপ্রথা। মার্কিন কংগ্রেসে যেমন ১৮৬৫ সালে, ১৩ তম সংশোধনের মাধ্যমে দাসত্বের অবসান ঘটানো হয়েছিল। আখেরে কি বিশ্বে দাসত্বের অবসান হয়েছে? প্রায় ৩ কোটি নারী ও কিশোরী আধুনিক দাসত্বের শিকার বলে জানিয়েছে দাসত্ব বিরোধী সংস্থা ওয়াক ফ্রি।শুধু ধরন বদলেছে। এর মধ্যে রয়েছে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়া দাসত্ব ও পারিবারিক দাসত্ব।

রিপোর্ট অনুযায়ী ৯৯ শতাংশ মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার , ৮৪ শতাংশ মহিলাকে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। ৫৮ শতাংশকে বাধ্যতামূলক ভাবে শ্রমিকের কাজ করানো হয়। করোনা-কালে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। বা বলা যেতে পারে কোভিড ১৯ বিশ্বব্যাপী আধুনিক দাসত্বের এই শৃঙ্খলকে আরও জোরাল করেছে।বহু দেশে অল্পবয়সি মেয়েরা বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের এই রিপোর্টকে আই ওপেনার বলা যেতে পারে। এই জনসংখ্যাটা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার থেকেও বেশি। বিশ্বে প্রতি ১৩০ মহিলা/মেয়ের মধ্যে একজনকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, পারিবারিক দাসত্বের শিকার হতে হয়।

বর্তমানে বিশ্বে যে সংখ্যাক নারী ও কিশোরী দাসত্ব নিয়ে বাস করছেন তা মানব সভ্যতার ইতিহাসে যে কোনো সময়ের তুলনায় অত্যাধিক। এই সময় তিনি আরো বলেন, আধুনিক দাসত্ব হলো পদ্ধতিগতভাবে কোনো ব্যক্তির স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা, যেখানে এক ব্যক্তি কর্তৃক অন্য ব্যক্তি ব্যক্তিগত বা অর্থনৈতিক লাভের স্বার্থজনিত শিকার হন। ওয়াক ফ্রি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ও অভিবাসীদের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার যৌথ সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এদের মধ্যে ৯৯ শতাংশ নারী জোরপূর্বক যৌন নিগ্রহ, ৮৪ শতাংশ জোরপূর্বক বিয়ে এবং ৫৮ শতাংশ জোরপূর্বক শ্রমের শিকার।

Leave a Comment