ভারতের ১৭ টি জায়গায় শুরু হবে “কোভিশিল্ড” ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল
নিজস্ব প্রতিবেদন, দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম দেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। তবে সুস্থের সংখ্যা বেশ স্বস্তি এনেছে। খুব দ্রুত দেশে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যাবে, বলেই মনে করছেন গবেষকরা। চলছে নানান ভ্যাকসিনের ট্রায়াল। এবার “কোভিশিল্ড” ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলবে ভারতের এই ১৭টি হাসপাতালে। ট্রায়ালে অংশ নেবেন প্রায় ১৬০০ জন। চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুটি ডোজ দেওয়া হবে ১৬০০ জনকে। দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হলে সেই তথ্য ডেটা সেফটি মনিটরিং বোর্ডকে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে তা যাবে কেন্দ্রীয় ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনে। সেখানেই হবে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল।
চলতি মাসের গোড়ায় ভারতে যে অ্যাডভান্সড ট্রায়াল চলেছে, তা সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে দেশের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনেরাল। এবার দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ওই ট্রায়াল হবে “অবজার্ভার ব্লাইন্ড, র্যান্ডম তবে নিয়ন্ত্রিত”। আগে থেকে এই ট্রায়াল যাদের উপর চালানো হবে তাদের বেঁচে নেওয়া হবে। এই ট্রায়ালের ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের সুরক্ষা ও রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।এই ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় অংশ নেবেন প্রায় ১৬০০ জন। এর মধ্যে ৪০০ জন অংশ নেবেন ইমিউনোজেনেসিটি কোহোর্টে। ৩:১ অনুপাতে তাঁদের ওপর কোভিশিল্ড বা চাদোক্স প্রয়োগ করা হবে।বাকি ১২০০ স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেবেন সেফটি কোহর্টে। ৩:১ অনুপাতে তাঁদের ওপর কোভিশিল্ড বা প্লাসেবো প্রয়োগ করা হবে।
ট্রায়ালের জন্য দেশের যে ১৭টি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি হল- অন্ধ্র মেডিক্যাল কলেজ(বিশাখাপত্তনম), জেএসএস অ্য়াকাডেমি অফ হায়ার এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (মহীশূর), শেঠ জিএস মেডিক্যাল কলেজ ও কেইএম হাসপাতাল (মুম্বই), কেইএম রিসার্চ সেন্টার (ভাদু), বিজে মেডিক্যাল কলেজ ও সাসুন জেনারেল হাসপাতাল (পুণে), অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (যোধপুর), রাজেন্দ্র মেমোরিয়াল রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (পটনা), ইনস্টিটিউট অফ কমিউনিটি মেডিসিন (চেন্নাই), পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (কলকাতা), ভারতী বিদ্যাপীঠ ডিম্ড ইউনিভার্সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (পুণে), জেহাঙ্গির হাসপাতাল (পুণে), অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সস (দিল্লি), আইসিএমআর রিজিওনাল মেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার (গোরক্ষপুর), টিএন মেডিক্যাল কলেজ ও বিওয়াইএল নায়ার হাসপাতাল (মুম্বই), মহাত্মা গাঁধী ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (সেবাগ্রাম) ও গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ (নাগপুর)।