বৃদ্ধাশ্রমেই শোষণের শিকার বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, আটকে রেখে মারধর! তদন্তের নির্দেশ দিল্লি প্রশাসনের
নিজস্ব প্রতিবেদন, যুগের সাথে সাথে মানুষ এগোতে এগোতে নিজের মানুষগুলোকেই পর করে দিচ্ছে। আর তারফলে আজ বহু মাতা – পিতা গৃহহীন। ঠাঁই হয়েছে বৃদ্ধাশ্রমে। কিন্তু কেন? যে মাতা-পিতা সন্তানকে বড় করে, সেই সন্তান বড় হয়ে সকল দায়িত্ব ভুলে যায়। আর সেই মাতা-পিতার আশ্রয় হয়ে ওঠে বৃদ্ধাশ্রম আবার কেউ ভবঘুরে হয়েই জীবন অতিবাহিত করেন। এরমধ্যে কয়েকজন আছেন যাঁদের থাকার ঘর তো আছে কিন্তু সুখ নেই। ঘরের মধ্যেই বয়স্কদের উপর অত্যাচার হতে থাকে। আর বয়েসের দরুন কিছু করতে না পেরে সেই শোষণের শিকার হন। দেশে এরূপ ঘটনার শেষ নেই। সম্প্রতি এমনই একটি অত্যাচারিত বৃদ্ধার কথা সামনে এসে। অবাক করা এই ঘটনা ঘটেছে বৃদ্ধাশ্রমে। নিজের বাড়িতে ঠাঁই না পেয়ে যাঁরা বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নেন, তাঁদের কাছে সত্যি আতঙ্কের বিষয়। তাহলে একটা বয়েসের পর কি আমরা কেউ সুরক্ষিত নই? এর দোষ কিন্তু আমরাই, আমরা যদি সঠিক পথে হাঁটি তাহলে নতুন প্রজন্ম সেই পথেই হাঁটবে আর কোনও বৃদ্ধাশ্রমের প্রয়োজন হবে না।
করোনা আবহে একটি বৃদ্ধাশ্রমের একটা ছোট্ট ঘরে আটকে রাখা হয় ১৯ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও প্রতিবন্ধীকে! শুধু তাই নয়, তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয়, চলে মারধরও! দিল্লির এক বৃদ্ধাশ্রমের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নিল প্রশাসন।পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লির নাংলোই এলাকার একটি এনজিও পরিচালিত বৃদ্ধাশ্রমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আসছিল। আবাসিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এমনকি তাঁদের একটা ছোট্ট ঘরে জোর করে আটকে রাখা হচ্ছিল বলেও অভিযোগ! তাঁদের মারধর করা হত বলেও জানা গিয়েছে।
এরপরই শুক্রবার দিল্লির নারী ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম ও দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল আচমকা ওই বৃদ্ধাশ্রমে হানা দেন। সঙ্গে ছিল পুলিশ। এভাবে অতর্কিতে হানা দিতেই বৃদ্ধাশ্রমের ছবিটা সরাসরি চোখের সামনে আসে। অপরিচ্ছন্ন শৌচাগার, সামাজিক দূরত্ববিধির বালাই নেই। ছোট্ট ঘরে রাখা হয়েছিল ১৯ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও প্রতিবন্ধীকে। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়। প্রশাসনের তরফে তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরূপ জঘন্য ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজেন্দ্র পাল গৌতম।