সুস্থতার সংখ্যা স্বস্তি জাগাচ্ছে, শেষ চব্বিশ ঘন্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫০ হাজার
নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে গবেষকরা। আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই বাজারে ভ্যাকসিন চলে আসবে। কিন্তু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা এবার ছাড়ালো ২০ লক্ষের গন্ডি। শেষ চব্বিশ ঘন্টায় সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৬২,৫৩৮ জন। যা এযাবৎ সর্বাধিক। এমনকি গতকালের আমেরিকার দৈনিক আক্রান্তের থেকেও বেশি।পাশাপাশি সুস্থতার সংখ্যা স্বস্তি দিয়েছে। শেষ চব্বিশ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। যা গতকালের থেকে অনেকটাই বেশি।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী শেষ চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। এই সংখ্যাটা গতকালে ছিল ৫৬ হাজারের মতো। অনুসারে ২২জুলাই বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা মোট ২০ লক্ষ ২৭ হাজার ০৬৪ জন। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাতেও এদিন ছয় লক্ষ ছাড়ায়। এই মুহূর্তে সারা দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৭ হাজার। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৫ লক্ষ ৯৫ হাজার।
এদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে ৫ আগস্ট দেশে করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ লক্ষ ৬৪ হাজার ৯৪৯। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ কোটি ২১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৩৫১।কোভিড-১৯ সংক্রমণে এ যাবৎ দেশে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪১,৫৮৫ জনের। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের মৃত্যুহার এখনও খানিকটা কম। সেটাই আতঙ্কের মধ্যে খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে। পাশাপাশি এদিন সারা দেশে সুস্থতার সংখ্যা চোদ্দ লক্ষ ছুঁতে চলেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন এই মুহূর্তে সারা দেশে সুস্থতার সংখ্যা ১৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ১০৫ জন। ভারতে এখন সুস্থতার হার ৬৮ শতাংশ। আর মৃত্যুহার ২.৭ শতাংশ।
ইতিমধ্যেই দেশে ২ কোটি ২৭ লক্ষের বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ লক্ষ ৩৯ হাজার ০৪২ জনের। সংক্রমণের নিরিখে এখনও বিশ্বে তৃতীয় স্থানে আছে ভারত। উপরে শুধুমাত্র আমেরিকা এবং ব্রাজিল। এর মধ্যে ব্রাজিলের তুলনায় ভারতের সংক্রমণের হার কিছুটা হলেও বেশি।