রাখিবন্ধনে বোনের কথায় আত্মসমর্পণ করল মাওবাদী নেতা
নিজস্ব প্রতিবেদন, ভালোবাসা কত কিছুই না করতে সক্ষম করে! তারই উদাহরণ মাল্লা ও বোন লিঙ্গায়ের সম্পর্ক। বোনের প্রতি ভালোবাসার টানে রাখীবন্ধনে রাখি পড়তে এসেছিল মাওবাদী নেতা মাল্লা। আর সেখানে বোন দাদাকে আত্মসমর্পণ করার আর্জি জানায়। বোনের কথায় আর ফিরল না দলে।
দান্তেওয়ার পালনার গ্রামের বাসিন্দা মোল্লা ১২ বছর বয়সে বাড়ি ছেড়ে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগ দেয়। ছত্তিসগঢ়ের প্রথম সারির মাওবাদী নেতা মাল্লা। ওয়ান্টেড ছিল সে। সেই যে বেরিয়েছিলেন আর বাড়ি ফেরেনি। কিন্তু এ বছর হল অস্বাভাবিক কান্ড। ১৪ বছর পর সে বোনের কাছে রাখীবন্ধনের দিন রাখী পড়তে আসে। ছত্তিসগঢ়ে যেভাবে মাওবাদী দমন শুরু হয়েছে, তাতে দাদার জীবন সংশয় হতে পারে বলে শঙ্কিত ছিল বোন।
দাদাকে দেখা মাত্রই দাদার কাছে আর্জি করে, যাতে দাদা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে দেয়। এই মাল্লার মাথার দাম পুলিশ ধার্য করেছিল ৮ লক্ষ টাকা। মাল্লা জানায়, “২০১৬ সাল থেকে বৈরমগড় এরিয়া কমিটির প্ল্যাটুন ডেপুটি কমান্ডার ছিলাম।’’ রাখীবন্ধনের দিন বোনের সেই আর্তি ফেরাতে পারেনি এই মাওবাদী নেতা। ধরা দেয় সে।সিদ্ধান্ত নেয় আর ফিরে যাবে না ওই দলে।
দান্তেওয়ারার পুলিশ সুপার অভিষেক পল্লব সংবাদসংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, লোন ভারতু প্রকল্পে এই মাওবাদী নেতা আত্মসমর্পণ করলেন। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে এই অঞ্চলে যতগুলি বড় ধরনের মাওবাদী নাশকতা ঘটেছে, সবগুলির সঙ্গে মাল্লার যুক্ত ছিলেন। আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসনের জন্য লোন ভারতু প্রকল্প চালু করেছে জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘আমরা মাল্লাকে গ্রেফতার করেছি। এর বেশি এখনই কিছু বলার নেই।’’