চীনের অস্থিরতার মূল কারণ এখন ভারতের সীমান্তে সেতু নির্মাণ ও পরিকাঠামো বৃদ্ধি
নিজস্ব প্রতিবেদন, ভারত – চীন সংঘর্ষে উত্তপ্ত লাদাখ। আর সেই সংঘাতের মধ্যে ভারত সীমান্তে একটা আস্ত ব্রিজ বানিয়ে ফেলেছে ভারত, যা চিনকে রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে, বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।চিনের বিদেশমন্ত্রক মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং দাবি, দুই দেশের মধ্যে অস্থিরতার মূল কারণ হয়ে উঠেছে সীমান্তবর্তী এলাকায় ভারতের সামরিক পরিকাঠামোয় উন্নতি ও সেনা বৃদ্ধি। শান্তির স্বার্থে সীমান্তে পরিকাঠামো বৃদ্ধিতে সম্মতি নেই চিনের। সোমবার ভারত-চিন কোর কম্যান্ডারদের সপ্তম রাউন্ডের বৈঠকে প্রতিবারের মতো কার্যক্ষেত্রে কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া গেল না বারো ঘণ্টার বৈঠকে।
বৈঠকের পর দুই দেশ একে অপরের অবস্থান আরও ভালো করে বুঝতে পারছে বলে জানানো হয়। অন্যদিকে ভারত যেভাবে সীমান্তে সেতু নির্মাণ করছে, সেই নিয়ে বেজিংয়ে চিনের বিদেশমন্ত্রকের তরফে আপত্তি জানিয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ৪৪টি নয়া ব্রিজের উদ্বোধন করেছেন রাজনাথ সিং। তার মধ্যে ৩০টি লাদাখ থেকে অরুণাচল অবধি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর।সীমান্তের দুই পারে উভয় দেশ প্রায় ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে যারা প্রচন্ড শীতেও এখানে থাকবে। এটিই ছিল শেষ বৈঠক যেখানে ভারতের নেতৃত্ব দিলেন কোর কম্যান্ডার হরিন্দর সিং। এর পরের বৈঠকগুলিতে নেতৃত্ব দেবেন লিউট্যানেন্ট জেনারেল পিজিকে মেনন যিনি ১৪ কম্যান্ডারের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন।
উল্লেখ্য, ডোকলামের সংঘাত স্থলের কাছে অরুণাচল প্রদেশে তৈরি করা হয়েছে ব্রিজ। যা ৪০ টন ভার বহন করতে সক্ষম। এই সেতু দিয়ে সেনাবাহিনী ও সেনার সরঞ্জাম দ্রুত নিয়ে যাওয়া সম্ভব।ভারতের ওই অংশেই সংঘাতের সম্ভাবনা সবধেকে বেশি ভারত-চিনের মধ্যে। কিন্তু ওই অঞ্চলে যাতায়াতের অসুবিধা থাকায়, ভারত সঠিকভাবে নজরদারি চালাতে পারত না। তাই এই সেতু বানানো হয়। এর ফলে ওই অংশে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াও সহজে হয়।