শ্বশুরবাড়িতে হওয়া অত্যাচারের বদলা নিতে মেয়ের শাশুড়িকে খুন করল মেয়ের বাবা-মা

শ্বশুরবাড়িতে হওয়া অত্যাচারের বদলা নিতে মেয়ের শাশুড়িকে খুন করল মেয়ের বাবা-মা

নিজস্ব প্রতিবেদন, রাগের বশে মেয়ের শাশুড়িকে খুন করে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করল মেয়ের বাবা – মা। সবজির নিচে শাশুড়ির দেহ চাপা দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার সময় মেয়ের বাবা – মা ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। এই ভয়াবহ ঘটনার সাক্ষী শহর কলকাতা। সূত্রের খবর, শ্বশুরবাড়িতে মেয়ের উপর চলত অত্যাচার, আর সেই কারণেই এই নৃশংস খুন। শুক্রবার রাতে দেহ নিয়ে যাওয়ার সময় ভোর ৪:১০ নাগাদ পেট্রোলিং -এ পুলিশের হাতে ধরা পরে তারা।

পশ্চিম চৌবাগার কাছে একটি হলুদ ট্যাক্সিটিকে দাঁড় করায় রাতের পেট্রোলিং-এর দায়িত্বে থাকা প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ। সেসময়ই ট্যাক্সিতে ছিল দু’জন পুরুষ ও এক মহিলা যাত্রী। তাদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা জানায় সবজি বিক্রি করতে যাচ্ছে। এরপর ট্যাক্সির মধ্যে তল্লাশি করার সময় ট্যাক্সির বুট ট্রাঙ্ক খুলতে পুলিশ দেখতে পায় সেখানা রাখা আছে প্রচুর কুমড়ো। তারই মধ্যে থেকে রক্তাক্ত একটা মাথা নজরে আসে পুলিশের। সঙ্গে সঙ্গে ট্যাক্সিচালক-সহ তিন যাত্রীকে আটক করে পুলিশ।

ট্যাক্সিতে ছিল মলিনা মণ্ডল ও তার স্বামী এবং তাদের আত্মীয় অজয় রং। তিনজনে মিলে ৬০ বছরের সুজামণি গায়েনকে খুন করে। পুলিশের জেরার সময় তারা তাদের সকল দোষ স্বীকার করে নেয়। খুনের কারণ হিসেবে পুলিশকে তারা জানায়, তাদের বড় মেয়ে সুজাতা গায়েনের বিয়ে হয়েছিল সুজামণির ছেলে খোকন গায়েনের। শশ্বুরবাড়ির অত্যাচারের শিকার হতে হত সুজাতাকে। তারই প্রতিশোধ নিতে তাঁর শাশুড়িকে খুন করেছে তাঁর বাবা-মা। সুজামণি পুত্রবধূর বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখনই লাঠির বাড়িতে তাঁকে অবচেতন করে শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়।

পুলিশ ট্যাক্সি চালক-সহ চারজন অভিযুক্তকে আটক করেছে। ইতিমধ্যে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও খুনের সময় সম্পর্কে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। পাশাপাশি এই খুনের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Comment