করোনা সংক্রমণ রুখতে বাতিল হলো বিখ্যাত ‘গরবা’ অনুষ্ঠান

করোনা সংক্রমণ রুখতে বাতিল হলো বিখ্যাত ‘গরবা’ অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদন, করোনা সংক্রমণ রুখতে বাতিল হলো বিখ্যাত ‘গরবা’ অনুষ্ঠান। কোভিড পরিস্থিতিতে গরবা নিষিদ্ধ করল গুজরাট সরকার। শুক্রবার নির্দেশিকা দিয়ে জানানো হল, চলতি বছর গরবা অনুষ্ঠান করা যাবে না। এর পাশাপাশি পুজো নিয়ে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। ১৭ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি। গুজরাটে নবরাত্রি ঠিক বাংলার দুর্গোৎসবের মতো। আর নবরাত্রি মানেই গরবা। কোভিড পরিস্থিতিতে উৎসবের ভিড় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়াতে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। সে কারণেই চলতিবছর গরবা অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল গুজরাট সরকার।

গুজরাটে নবরাত্রির পুজো হলে একাধিক বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। শুক্রবার নির্দেশিকা জারি করে এমনটাই জানিয়েছে বিজয় রূপানির সরকার। আগামী ১৬ই অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে এই নির্দেশিকা। নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবছর কোনওভাবেই গরবার অনুষ্ঠানই আয়োজন করা যাবে না। নবরাত্রি উদযাপনের সময় সর্বজনীন স্থানে প্রতিমা স্থাপন করা গেলেও, সেই প্রতিমা স্পর্শ বা প্রসাদ বিতরণ করা যাবে না। দুর্গা পুজো, দশেরা, ভাইফোঁটার মতো অনুষ্ঠানগুলি সবাইকে নিজের নিজের বাড়িতেই পালন করার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

গুজরাত সরকার নবরাত্রি উদযাপনের সময় সর্বজনীন স্থানে প্রতিমা স্থাপনের অনুমতি দিলেও করোনার সংক্রমণ আটকাতে ভক্তদের স্পর্শ করতে দেওয়া হবে না। এই জাতীয় পাবলিক ইভেন্টগুলিতে, নির্দেশিকা অনুসারে কোনও প্রসাদ বিতরণ করা হবে না। সমস্ত নির্দেশিকা নবরাত্রি শুরুর একদিন আগে, অর্থাৎ ১৬ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। ফেস্টিভালের জন্য গুজরাত সরকারের নির্দেশিকা হল, দশ দিনের নবরাত্রি উদযাপন, দশেরা, দিওয়ালি, বেস্টু বর্ষ (১ নভেম্বর) এবং শারদ পূর্ণিমার (৩০ অক্টোবর) সময় এই নির্দেশিকা অনুসরণ করা হবে। নবরাত্রির সময় রাজ্যে গরবা ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কোনও প্রকাশ্য অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হবে না। ২০০-রও বেশি ব্যক্তির জড়ো হওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।

এছাড়া কনটেইনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে সামাজিক, শিক্ষামূলক, বিনোদন, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলিও কিছু শর্তসাপেক্ষে আয়োজন করা যাবে। তবে ওই অনুষ্ঠানেও কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে। এই ধরণের অনুষ্ঠানে কোনওভাবেই ২০০–রও বেশি ব্যক্তি থাকতে পারবেন না। অনুষ্ঠানের জায়গায় ছয় ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে, সেক্ষেত্রে মার্কিংও করতে হবে। পাশাপাশি, ফেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। থার্মাল স্ক্যানার এবং স্যানিটাইজার ডিসপেন্সারও রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। একইসঙ্গে, যাঁদের বয়স ৬৫ বছরের বেশি বা ১০ বছরের কম, তাঁদের কোনো অনুষ্ঠানে থাকতে দেওয়া যাবে না। এছাড়া অন্তঃসত্ত্বাদেরও এহেন অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে গুজরাট সরকার।

দশেরায় রাবণ দহন অনুষ্ঠান করা যাবে না। মেলা, রামলীলা ইত্যাদিও নিষিদ্ধ। পুজোর ক্ষেত্রে ৬ ফুটের দূরত্বে গোল দাগ কেটে রাখতে হবে। দশেরা, দুর্গাপুজো, দীপাবলি, গুজরাটি নববর্ষ, ভাই দূজ ও শরদ পূর্ণিমা বাড়িতেই উদযাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে নির্দেশিকায়।

Leave a Comment