করোনার প্রকোপ কাটিয়ে আবার ছন্দে ফিরছে অর্থনীতি, জানালেন মোদী
নিজস্ব প্রতিবেদন, দেশের করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই মোদী সরকারের নজর পড়েছে দেশের অর্থনীতির উপর। লকডাউনের জেরে দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই শোচনীয় হয়ে পড়েছিল। তবে এবার দ্রুত ছন্দে ফিরছে দেশের অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দাবি, সম্প্রতি যে সংস্কার কর্মসূচি তাঁর সরকার নিয়েছে, তা বিশ্বের কাছে এই বার্তাই বহন করছে যে নতুন ভারত বাজার এবং বাজারের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে। তাঁর এই আশাবাদিতার পিছনে রয়েছে পাঁচটি সূচক- কৃষি, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ, উৎপাদন শিল্পের উন্নতি, গাড়ির বিক্রি এবং ইপিএফও-র গ্রাহক বৃদ্ধি, যা চাকরির বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিতবাহী। অতিমারীর মোকাবিলার জন্য মোদী সরকার সর্বদা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করেন নরেন্দ্র মোদী। সঠিক সময়ে লকডাউন ও আনলক করে দেশে করোনা পরিস্থিতি দ্রুত ভালোর দিকে এগিয়েছে। অত্যন্ত তৎপর ভাবে ধাপে ধাপে ভারত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার এবং সমাজকে এক সূত্রে বাধা গিয়েছে।
মোদীর দাবি, করোনা মোকাবিলায় ভারতের পদক্ষেপ যে কতটা বিজ্ঞানসম্মত, তা বোঝা গিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষা ও গবেষণায়। পাশাপাশি সম্প্রতি পাশ হওয়া কৃষি বিল নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন মোদী। তাঁর কথায়, “আমি মনে করি যে বিনিয়োগ এবং পরিকাঠামোয় জোর দেওয়াটাই পূর্বাবস্থায় ফেরা এবং বৃদ্ধির পক্ষে সবচেয়ে বড় সহায়ক হবে।’ প্রধানমন্ত্রীর সংযোজন, ‘নতুন ভারত যাতে পৃথিবীতে লগ্নির সবথেকে পছন্দসই গন্তব্য হয়ে ওঠে, সে জন্য আমরা আমাদের সংস্কার কর্মসূচি চালিয়ে যাব।”
তবে তিনি এখনও দেশবাসীকে সচেতন থাকার কথা বলেছে। কোরোনাকে সহজ ভাবে না নেওয়ার কথা জানান। তিনি বলেন, “ভাইরাস তো এখনও রয়েছে। আমরা গা-ছাড়া মনোভাব দেখালেই তা আবার চেপে বসবে। আমি বিশ্বাস করি, ভাইরাসের গতিতে যে ভাটা এসেছে, তা নিয়ে উদ্যাপন না-করে আমরা বরং আমাদের প্রত্যয়, আমাদের আচরণ ও আমাদের ব্যবস্থাকে দৃঢ়তর করে তুলি।’ এখানেই তাঁর সরকারের মনোভাব স্পষ্ট করে মোদী বলছেন, ‘সুদিনের আশা করা যাক, কিন্তু প্রস্তুত থাকতে হবে সবচেয়ে দুর্দিনের জন্যই। করোনাভাইরাসকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও কারণ এখনও নেই।”