গণধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের শাস্তি সোজা মৃত্যুদণ্ড, জানাল কর্ণাটক হাইকোর্ট

গণধর্ষণের মতো ঘৃণ্য অপরাধের শাস্তি সোজা মৃত্যুদণ্ড, জানাল কর্ণাটক হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন, গণধর্ষণের থেকে ঘৃণ্য অপরাধ হয় না, খুনের থেকেও ঘৃণ্য গণধর্ষণ। তাই ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ডি) ধারা সংশোধন করে এই অপরাধীদের জন্য মৃত্যুদণ্ড ধার্য করা উচিত, সাফ বক্তব্য কর্নাটক হাইকোর্টের। ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেই এদিন মন্তব্য করে আদালত। বিচারপতি বি ভীরাপ্পা ও বিচারপতি কে নটরঞ্জনের ডিভিশান বেঞ্চ এদিন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ডি ধারাকে ফের পরিবর্তন করার সুপারিশ করেন। আদালত সূত্রে আইনবিভাগ ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানার সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডকেও যোগ করার আর্জি জানানো হয়।আদালতের তরফে যোগ করা হয়, ‘ধর্ষণ কেবল মেয়েদের ওপর অত্যাচার নয়, সমাজের বিরুদ্ধে একটি অপরাধ।’

প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর মাইসুরু ও রামনগর জেলার রামু, শিবান্না, মাদ্দুরা, এলেইয়াহ, এরাইয়াহ, ডোড্ডা এবং রাজাকে গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল বেঙ্গালুরুর নবম অ্যাডিশনাল সিটি সিভিল সেশন জাজ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে, হাইকোর্টে আবেদন করেছিল অপরাধীরা। তবে ফল কিছুই জটনী, পূর্ববর্তীর রায়কেই বহাল রাখছে কর্নাটক হাইকোর্ট।উল্লেখ্য, স্বাধীনতার ৭৪ বছর পরেও নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে দেশজোড়া ভয়ানক পরিস্থিতি নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার হয়েছেন বিচারপতি বি ভীরাপ্পা ও কে নটরাজনের ডিভিশন বেঞ্চ। এই কারণে লিঙ্গসাম্যের ব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তোলা ও মহিলাদের সম্মান করার উপর বুশেহ জোর দেন বিচারপতিরা। ল্ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ডি) ধারা গণধর্ষণের অপরাধীদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানার কথা লেখা আছে।

আদালত এদিন বলেছে, “যখন একজন নারীকে নির্যাতন করা হয়, তখন শুধু তার শারীরিক ক্ষতের সৃষ্টি হয় এমন নয়, বরং তাঁর লজ্জার উপর মৃত্যুর মতো গভীর আঘাত করা হয়। নির্ভয়া ও এই মামলার ক্ষেত্রে একটাই তফাত্‍‌, নৃশংস অত্যাচারের পর নির্ভয়া মারা গিয়েছিল, আর এই ক্ষেত্রে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে নিজের দেশে ফিরে গিয়েছে ধর্ষিতা।” আদালতের এও বলেছে, “আইনের ছাত্রীর উপর গণধর্ষণের দ্বারা শুধু তাঁর উপরই অপরাধ করা হয়নি, গোটা নাগরিক সমাজকে আঘাত করা হয়েছে। সমাজকে ন্যায়বিচার দিতে এই অপরাধীদের শাস্তি হওয়া দরকার।”

Leave a Comment