শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমির ওপর ইদগা মসজিদ সরানোর পিটিশন গ্রহণ করল না আদালত
নিজস্ব প্রতিবেদন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমির ওপর ইদগা মসজিদ সরানোর আর্জি খারিজ করল মথুরার দায়রা আদালত। শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমির ওপর ইদগা মসজিদ তৈরি হয়েছিল, সেই ইদগা মসজিদ সরানোর দাবি ওঠে। গত সপ্তাহে কয়েকজন সেই দাবি তুলে পিটিশন দায়ের করেছিল। সেই পিটিশন গ্রহণ করল না মথুরার দায়রা আদালত।আদালতের মন্তব্য, এই আবেদনের শুনানির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ভিত্তি নেই। এই আবেদনের শুনানির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ভিত্তি নেই নেই বলে আদালত মন্তব্য করেছে।
আদালতের দাবি, ১৯৯১-এর ধর্মস্থান আইন অনুযায়ী সমস্ত ধর্মস্থানের স্থিতি ১৯৪৭-এর ১৫ অগাস্ট যেমন ছিল, তেমন রাখতে হবে। এই আইনে শুধু অযোধ্যার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রাখা হয়েছিল। একমাত্র অযোধ্যার মন্দির-মসজিদের বিষয়টি এর বাইরে রাখা হয়েছিল।এই পিটিশন বিচারক ছায়া শর্মার এজলাসে দায়ের করা হয়েছিল। পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, ১৯৬৮-তে অবৈধ সমঝোতার মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রকৃত জন্মস্থান শাহি মসজিদকে দেওয়া হয়েছিল। পিটিশনে দাবি করা হয়েছিল, ১৯৬৮-তে অবৈধ সমঝোতার মাধ্যমে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রকৃত জন্মস্থান শাহি মসজিদকে দেওয়া হয়েছিল।ওই মসজিদ কাটরা কেশব দেব মন্দিরের ১৩ একর চত্বরে কৃষ্ণের জন্মস্থানে তৈরি হয়েছিল।যা তুলে নেওয়ার আর্জি জানায়।
অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় লখনউয়ের সিবিআই আদালত সমস্ত অভিযুক্তদের বেসকুর খালাস দেওয়ার কয়েকঘন্টা পর কৃষ্ণর জন্মভূমি সংক্রান্ত আর্জি গ্রাহ্য হল না আদালতে। এরপর আবেদনকারীরা এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পিটিশনে ১৯৬৮-তে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান ও শাহি ইদগা ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে সমঝোতায় মথুরা আদালতের সিলমোহর খারিজের দাবিও জানানো হয়।মামলার পক্ষে ছিল উত্তরপ্রদেশের সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড, শাহি মসজিদ ইদগা ট্রাস্ট ,শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি ট্রাস্ট ও শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থান।তবে পুরোহিতদের অপর একটি গোষ্টী এই পিটিশনের নিন্দা করেছিল। অখিল ভারতীয় তীর্থ পুরোহিত মহাসভার সভাপতি মহেশ পাঠক বলেছিলেন, কিছু বহিরাগত মন্দির-মসজিদের ইস্যু তুলে মথুরা শান্তি বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছে।