করোনা টিকাকরণের জন্য প্রতিটি রাজ্যকে কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন্দ্রের
নিজস্ব প্রতিবেদন, আগেই কেন্দ্র জানিয়েছে, ভ্যাকসিন হাতে এলেই প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের তা দেওয়া হবে। রাজ্যের সকল স্বাস্থ্যকর্মীদের নামের তালিকা তৈরি হচ্ছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জেলায় জেলায় নির্দেশিকাও পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি প্রত্যেক নাগরিককে টিকাকরণ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসার জন্য রাজ্যস্তরে কমিটি গঠন করতে বলেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, কোল্ড চেন প্রস্তুতি, কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা, ভৌগলিক অবস্থান অনুযায়ী প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে পৌঁছানোর কৌশল-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এবার করোনার টিকাকরণের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে কমিটি গঠন করার কথা বলল। অত্যাবশ্যকীয় চিকিৎসা পরিষেবার দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখছে সরকার। পাশাপাশি টিকাকরণ নিয়ে যাতে কোনও গুজব না ছড়ায় সেদিকেও নজর রাখার কথা বলা হচ্ছে। টিকাকরণ কর্মসূচি সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মনে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হতে পারে, যা পরে অসুবিধায় ফেলতে পারে।
বলাভ্যাকসিন যাতে সকলের কাছে পৌঁছায় সে বিষয়েই নজরদারি চালাবে এসএসসি। টিকাকরণে দক্ষতা বিচার করে জেলা, ব্লক, ওয়ার্ড এবং পঞ্চায়েত স্তরে দলগুলিকে স্বীকৃতি দেবে এসএসসি। এসটিএফ কোভিড টিকাকরণের পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নে ভূমিকা নেবে। নির্দেশ দেওয়ারপাশাপাশি প্রয়োজনীয় আর্থিক খরচের বিষয়টি দেখভাল করবে। জেলাগুলির জন্য সময়সীমা নির্ধারণের পাশাপাশি রুটিন টিকাকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে যাবতীয় সমস্যার সমাধান করবে এসটিএফ।
জেলা স্তরে টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় যাবতীয় কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করবে ডিটিএফ। যে কোনো ধরনের পরিকল্পনা, যোগাযোগ, কোল্ড চেন এবং ভ্যাকসিনের পরিবহণের পরিকল্পনা, অর্থাৎ তৃণমূল স্তরের সমস্ত বিষয়গুলিকেই নিয়ন্ত্রণ করবে ডিটিএফ।সময়সূচি মেনে কোভিড ভ্যাকসিন টিকাকরণের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভ্যাকসিন সম্পর্কিত ‘গুজব’ রুখতে পদক্ষেপ নেবে ডিটিএফ।