জ্বালানি ভরা বন্ধ করল বাস মালিকদের সংগঠন, বাসের ভাড়া না বাড়ানোয় অভিনব প্রতিবাদ
নিজস্ব প্রতিবেদন, বারবার ভাড়া বাড়ানোর দাবি করার পরও ভাড়া বাড়ানো হয়নি। তাই এবার ২৭ জুলাই পাম্পে গিয়ে ডিজেল ভরল না জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের বাস। আবেদন জানিয়েও কোনও সুরাহা না মেলায় আপাতত অভিনব এই প্রতিবাদ শুরু করল বাস সংগঠনের সদস্যরা।আজ সোমবার থেকে রাজ্যের কোনও পেট্রোল পাম্প থেকে ডিজেল কেনা বন্ধ করে দিল বাস মালিকদের অন্যাতম বৃহৎ এই সংগঠন।বিগত কয়েকমাস ধরে ডিজেলের অস্বাভাবিক মুল্য বৃদ্ধির জেরে বাসের ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বাস মালিকরা।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের ক্রমাগত ডিজেলের মুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি। আমরা চাই সবাই এগিয়ে আসুক। বাকি সংগঠন একই রকম ভাবে প্রতিবাদ জানাক”।আগামী ৪ আগষ্ট কলকাতা-সহ রাজ্যের সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং ইনসিওরেন্স কোম্পানিতে গিয়ে ডেপুটেশন জমা দেবেন।
বাস সংগঠনের দাবি, সাধারণত সপ্তাহের প্রথম দিনেই তেল এক্ষেত্রে ডিজেল ভরে নেওয়া হয় পুরো ট্যাঙ্কি জুড়ে। ১৭০ লিটার তেল ভরলে কলকাতায় তিন দিন বাস চলে। ২২০ লিটার তেল ভরে জেলার বাসে ১ থেকে দেড় দিন চলে। ৭৭ টাকা তেলের লিটার হলে ১৭০ লিটারের জন্য খরচ পড়ে ১৩০৯০ টাকা। ২২০ লিটারের জন্যে খরচ পড়ে ১৬৯৪০ টাকা। ফলে একদিনে জ্বালানি বাবদ যে খরচ হত সেটা হবে না।
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দোপাধ্যায়ের দাবি, “অনেক চালক ভয়ে চাবি আমাদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে চলে গেছেন। তারা ভয় পাচ্ছেন যদি তাদের করোনা হয়।” দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির নেতা রাহুল চ্যাটার্জি। তিনি জানাচ্ছেন, “ভয় তো একটা আছেই। অনেকেই আবার বাস রেখে দিয়ে চলে গেছেন। বাস মালিকরা তা জানে না।” এদিন কলকাতা চত্বর ঘুরে দেখা গেল বিভিন্ন স্ট্যান্ডে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কোথাও কোথাও বাস তালাবন্ধ করে রেখেছে। কর্মীরা চলে গিয়েছেন। সরকারের সঙ্গে বেসরকারি বাস লক্ষ্যণীয় ভাবে কম চলেছে। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে যে সংখ্যক সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে তাতে প্রচুর যাত্রী হচ্ছে না।