শহরজুড়ে চলছে কড়া নজরদারি, আকাশে উড়ছে ড্রোন, সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথমদিনেই কঠোর প্রশাসন

শহরজুড়ে চলছে কড়া নজরদারি, আকাশে উড়ছে ড্রোন, সংক্রমণ ঠেকাতে প্রথমদিনেই কঠোর প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদন, সংক্রমণ রুখতে রাজ্যজুড়ে সপ্তাহে দু’দিন লকডাউনের ঘোষণা করেছে সরকার। আপাতত বৃহস্পতিবার ও শনিবার পুরোপুরি লকডাউন মানার নির্দেশ জারি। আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত সম্পূর্ণ লকডাউন রাজ্যে। লকডাউনের প্রথম দিনই চলছে কড়া নজরদারি। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। চলছে নাকা চেকিং। আনলক চলাকালিন হঠাৎ পুরোপুরি লকডাউন কার্যকর করা পুলিশের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বহু জায়গায় বিনা কারণে মানুষকে বেরোতে দেখে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কথা না শুনলে খেতে হচ্ছে লাঠির ঘা। উল্টোডাঙা মোড়ে পথচলতি গাড়ি দাঁড় করিয়ে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

কড়া নজর রাখার জন্য আকাশে উড়ছে ড্রোন। রাজাবাজার এলাকায় ড্রোনের সাহায্যে চলছে কড়া নজরদারি। এপিসি রোডের মধ্যে বিভিন্ন গলিতেও চলছে পুলিশের নাকা চেকিং। ছাড় দেওয়া হচ্ছে না সাইকেল আরোহীদেরও।উল্টোডাঙা মোড়ে বেশ কয়েকজন সাইকেল আরোহীদের পুলিশ ধরেছে। কাঁকুড়গাছি চত্বরে যারা লকডাউন ভঙ্গ করে বাইরে বেরোচ্ছে, তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানার উদ্যোগে ড্রোন উড়িয়ে চলছে নজরদারি। রবীন্দ্র সরণিতেও একই ভাবে রাখা হয়েছে নজরদারি। ধর্মতলায় পুলিশের নাকা চেকিং সকাল থেকেই। রুবিতেও পুলিশের নাকা চেকিং চলেছে। সায়েন্স সিটি মোড়ে কিছু গাড়ি আটকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এন্টালি ফিলিপ্স মোড়ে ড্রোন উড়িয়ে, স্ক্রিনে নজরদারি চালানো হয় গলিতে গলিতে।পাশাপাশি মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ।

হাওড়ার রাস্তাও বেশ ফাঁকা। রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ। হুগলিতেও লকডাউনে বন্ধ সব ফেরি সার্ভিস। বন্ধ বাজার, দোকানপাট। শুধু কয়েকটি ওষুধের দোকান খোলা রয়েছে। সর্বত্র লকডাউন কার্যকর করতে প্রশাসন সব ধরনের প্রচেষ্টা করেছে। বাঁকুড়ার ছবিটাও একইরকম। শহরে সকাল থেকে দোকানপট বন্ধ, বন্ধ বাজারও। রাস্তা প্রায় সুনসান।ফুলবাগান থানার কাঁকুড়গাছি মোড়ে নাকা তল্লাশি চলছে পুলিশের। ওই এলাকায় লকডাউন অমান্য করায় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের চাঁপাডালি মোড় বা ডাকবাংলা মোড় কার্যত সুনসান।

পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজার, স্টেশন বাজার, পাণ্ডবেশ্বরে পুলিশের নাকা তল্লাশি। রাস্তায় বেরিয়ে উপযুক্ত কারণ দেখাতে না পারায় কয়েকজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বীরভূমের বোলপুরে লকডাউন অমান্য করায় গ্রেফতার ২০ জন। সাঁইথিয়ায় উপযুক্ত কারণ ছাড়া রাস্তায় বেরনোয় বেশ কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তারপর তাঁদের সারি দিয়ে দাঁড় করিয়ে লাঠির বাড়ি মারে পুলিশ। বীরভূমে জেলা জুড়েই চলছে নাকা চেকিং। রাস্তায় কাউকে দেখলেই তদারকি করেন পুলিশ আধিকারিকরা। সিউড়ি, দুবরাজপুর, কীর্ণাহার, সাঁইথিয়ায় দোকানপাট, বাজার, সব বন্ধ। সকাল থেকেই লকডাউন রক্ষার্থে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন।এখন দেখার বিষয় কতটা কার্যকরী হবে এই লকডাউন!

Leave a Comment