গরু পাচারে জড়িত সতীশ কুমারের সাথে উঠে এল আরও কিছু নাম

গরু পাচারে জড়িত সতীশ কুমারের সাথে উঠে এল আরও কিছু নাম

নিজস্ব প্রতিবেদন, সারা দেশে বর্তমানে গরু পাচার কাণ্ড নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে তল্লাসি নিচ্ছে তাঁরা। গরু পাচার নিয়ে ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত মাঝে মাঝেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পাচারকারী, এই অভিযোগে বহু বাংলাদেশি নাগরিককে গুলি করে মেরেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষা বাহিনী বিএসএফ। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সাম্প্রতিক তদন্তে দেখা গেল ভূত রয়েছে সর্ষেতেই। বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিএসএফ এবং শুল্ক বিভাগ গরু পাচারে সাহায্য করে।বুধবার দিল্লি, কলকাতা, শিলিগুড়ি, অমৃতসর, ছত্তিশগড়, গাজিয়াবাদ-সহ ১৫টি জায়গায় ঘুরে ঘুরে তল্লাশি করেছে সিবিআই।

এখনও পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে, বিএসএফ কম্যান্ডান্ট সতীশ কুমারের ছেলে ভুবন ভাস্কর মহম্মদ এনামুল হক-এর সংস্থার হক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড সংস্থাতে কর্মরত ছিলেন। অভিযোগ করা হয়েছে সতীশ কুমার কর্মরত থাকাকালীন বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকরা ২০ হাজারেরও বেশি গবাদি পশুকে ধরেছিল বিএসএফ। তবে অবৈধ ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত কোনও গাড়ি বা ব্যক্তি এখনও ধরা পড়েনি। গ্রেফতারও করা হয়নি।
গতকাল সারা দিন ধরে তল্লাশি চালানোর পর সিবিআই তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ওই খুঁটিতে বেশ কয়েকজন বিএসএফ কমান্ডর সতীশ কুমার, মালদহ-মুর্শিদাবাদের সীমান্তের একাধিক নেতাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে সিবিআর তরফ থেকে।

এঁদের মধ্যে ৭ জন বিএসএফ আধিকারিক, ৫ জন আছেন কাস্টমসে। মূল অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে আরও ২ ব্যবসায়ীর এই গরু পাচারে যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এবং এই গরুপাচার ঘিরেই বছরে কয়েকশো কোটি টাকার লেনদেন হয় দুই দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া বা উত্তর ২৪ পরগনার মতো জেলাগুলির এক একটিতেই।সিবিআই জানিয়েছে, অভিনব কায়দায় এই গরু পাচার চালানো হয়। নিয়ম অনুযায়ী বিএসএফকে সীমান্তে গরু ধরতেই হয়। খাতায় কলমে দেখাতে হয়, মাসে কতজন পাচারকারীকে তারা গ্রেফতার করেছে এবং কত সংখ্যক গরু উদ্ধার হয়েছে।

গতকাল তদন্তের পর সিবিআই সতীশের সল্টলেকের বাড়ি সিল করে দেয়। যদিও সতীশবাবু সেই মুহূর্তে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এমনকি তাঁর মুর্শিদাবাদের লালগোলার বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চলে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত আধিকারিকরা গরু পাচারকারীদের কাছ থেকে প্রতি মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন তিনি । এমনকি সিবিআই সূত্রের খবর এনামুল হক, আনারুল শেখ ও মহম্মদ গোলাম মুস্তাফা নামে তিনজনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই। এরাও নাকি গরু পাচারকারী, মালদা, মুর্শিদাবাদ এলাকা থেকে বাংলাদেশে গরু পাচার করে। সতীশ কুমারের ছেলেকে নিজের কোম্পানিতে চাকরি দিয়েছিল এনামুল। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে রাজি নয় এনামুল হক।

Leave a Comment