প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সােমেন মিত্র, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সােমেন মিত্র, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদন, ছেড়ে চলে গেলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সােমেন মিত্র। যেন বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো। গত কয়েকদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গতকাল গভীর রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। সােমেন মিত্র দক্ষিণ কলকাতার বেল ভিউ নার্সিং হােমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এমনিতেই, হৃদযন্ত্রের সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান নেতা। ক্রেটিনিনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তারপরেই তাঁকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। গত বুধবার তাঁর ডায়ালেসিসও করা হয়। গতকাল রাতে হঠাৎই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, রাত ১টা ৫০ নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর। 

৩ নম্বর লোয়ার রডন স্ট্রিটের ফ্ল্যাট। ঘরে ঢোকার মুখেই ডান হাতে তামার প্লেটের ওপর বড় বড় করে কালো হরফে লেখা সোমেন মিত্র। ব্র্যাকেটে এমপি। তার নীচেই রয়েছে শিখা মিত্রের নাম। ব্র্যাকেটে লেখা এমলএ। আর একেবারে শেষে লেখা রয়েছে মিস্টার রোহন মিত্র। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এটাই ছিল প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নিবাস। শিয়ালদা, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বিধান ভবনের পর ‘ছোড়দা’-র নিভৃত নিবাস ছিল ৩ নম্বর লোয়ার রডন স্ট্রিটের এই ফ্ল্যাট। আজ এখানে জন সমাগম হয়েছে ঠিকই, তবে রয়েছে শ্মশানের নিস্তব্ধতা। বাড়ির বড় কর্তাই তো আর নেই।

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর জীবনাবসানে শোকপ্রকাশ করলেন প্রাক্তন জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তিনি লিখেছেন, ভালবাসা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁকে স্মরণ করব। পরিবারের প্রতি ভালবাসা ও সমবেদনা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোমেন মিত্রের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন। টুইটে তাঁর পরিবার, অনুরাগী ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।লেখেন, “Saddened to hear about the passing away of veteran leader, former MP and @INCWestBengal president Somen Mitra. My deepest condolences to his family, followers and well-wishers”.

উল্লেখ্য, শিয়ালদা আসন থেকে একাধিকবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সোমেন মিত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ২০০৯ সালে সোমেন মিত্র ডায়মণ্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে সাংসদও হন। পরে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন এবং প্রদেশ সভাপতির পদমর্যাদা অর্জন করেন।

Leave a Comment