জে-২০ ‘স্টেল্থ’-এর থেকে রাফাল অনেক বেশি উন্নত! এবার তথ্য সহ চীনকে প্রমান দিল ভারতের বিশেষজ্ঞরা
নিজস্ব প্রতিবেদন, সম্প্রতি ফ্রান্স থেকে এসে পৌঁছেছে ৪.৫ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান রাফাল। এই রাফালের বিশেষত্ব চিনের শক্তিশালী বহুল-প্রচারিত জে-২০ ফাইটার জেট হার মানাবে। এরফলে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি অনেকটাই বৃদ্ধি যে পয়েছে, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু বেজিং তা মানতে নারাজ। চিনা সংবাদসংস্থা গ্লোবাল টাইমস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাফালের তুলনায় বেশি শক্তিশালী চেংডু জে-২০ বিমান, যার পোশাকী নাম ‘মাইটি ড্রাগন’। ইতিমধ্যেই, রাফালের ‘খুঁত’ ধরার কাজে কার্যত আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন চিনা বিশেষজ্ঞরা।
চিনের সামরিক বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, জে-২০ হল স্টেল্থ প্রযুক্তি থাকা চতুর্থ প্রজন্মের বিমান। আয়েসা রেডারের উপস্থিতি, অত্যাধুনিক অস্ত্রবহনে সক্ষমতা ও সামান্য স্টেল্থ প্রযুক্তির দৌলতে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান স্তম্ভ সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমানের থেকে না কি মাত্র এক-চতুর্থাংশ প্রজন্ম এগিয়ে রাফাল। কিন্তু চীনের এই দাবিকে মিথ্যে বলেছেন ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
প্রমান সহ তাঁরা জানিয়েছেন, চতুর্থ প্রজন্মের বিমানে স্টেল্থ প্রযুক্তি থাকে না। অর্থাৎ, জে-২০ চতুর্থ প্রজন্মের হলে তাতে স্টেল্থ টেকনোলজি নেই। সেখানে রাফাল হল ৪.৫ প্রজন্মের। এর মধ্যে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যাতে বিমানের রেডার ক্রস-সেকশন (আরসিএস) ও ইনফ্রারেড সিগনেচার অত্যন্ত কমে যায়। এর ফলে, শত্রুর রেডারে রাফাল ধরা পড়ে না।
সুখোই-৩০ এমকেআই হল প্রকৃত অর্থে চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান। সবচেয়ে বড় কথা, তা বিপুলভাবে পরীক্ষিত ও ব্যবহৃত।তাই এর সঙ্গে জে-২০-এর তুলনা হতে পারে। কিন্তু রাফালের সঙ্গে এই তুলনা কথনই করা যায় না। কারণ, রাফাল অনেক অনেক এগিয়ে।