বিশুদ্ধ গোবরে প্রস্তুত চিপ তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাবে!

বিশুদ্ধ গোবরে প্রস্তুত চিপ তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাবে!

নিজস্ব প্রতিবেদন, রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান বল্লভভাই কথিরিয়ার দাবি করেন, তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাতে পারে বিশুদ্ধ গোবর। গোবরের মধ্যে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এটা প্রমাণিত বলেও তিনি দাবি করেন।কেনই বা তেজস্ক্রিয়তার প্রসঙ্গ উঠল, কেন তিনি হঠাত্‍‌ করে গোবরের গুণকীর্তন গাইতে শুরু করলেন, এ নিয়ে সংবাদিক মহলে জল্পনার সময় সকলকে চমক দিয়ে তিনি একটি চিপ তুলে ধরেন। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যানের দাবি, চিপটি সম্পূর্ণ ভাবে বিশুদ্ধ গোবরে তৈরি। গোবরে পদ্ম হলে, বিজ্ঞানের দৌলত গোবরে চিপ তৈরি অসম্ভব নয়। কিন্তু, এই চিপের সঙ্গে তেজস্ক্রিয়তার সম্পর্ক কী?

কাথিরিয়া দেশব্যাপী কামধেনু দীপাবলি অভিযানের সূচনা করেন। অভিযানের মূল লক্ষ্য – গোবর-জাত পণ্যের প্রসার ঘটানো।তিনি বলেন, “দেখুন এটা রেডিয়েশন চিপ। আপনি আপনার মোবাইলে এটা রাখতে পারেন। আমরা দেখেছি, যদি এই চিপ মোবাইলে রাখা হয়, তাহলে তা ক্ষতিকারক বিকিরণ অনেকটাই কমিয়ে দেয়। যদি আপনি রোগ এড়াতে চান, তাহলে এটা ব্যবহার বাঞ্ছনীয়। গোসত্ত্ব কবচ নামে ওই চিপ তৈরি করেছে রাজকোটের শ্রীজি গৌশালা”।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় মৎস্য পশুপালন ও দুগ্ধজাত পণ্য মন্ত্রকের অধীনে গঠিত হয় রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ। এর প্রধান লক্ষ্য হল গরুর সংরক্ষণ, সুরক্ষা ও উন্নয়ন। সম্প্রতি, বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমারকে বলতে শোনা গিয়েছে, আয়ুর্বেদিক কারণে তিনি প্রতিদিন গোমুত্র পান করেন।সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই কাথারিয়া বলেন, “অভিনেতা অক্ষয় কুমার কী বলেছেন। এটা ওষুধ। কিন্তু আমরা আমাদের বিজ্ঞান ভুলে গিয়েছি। তবে, আমরা এখন একটা প্রকল্প শুরু করেছি। সেখানে সেই বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা হচ্ছে, যেগুলিকে মিথ হিসেবে মনে করা হয়”।

ক্যাথিরিয়া গোবর থেকে তৈরি বিভিন্ন জিনিস প্রদর্শন করেন। তাঁর দাবি, “গোবরে বিকিরণ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। এটা সবকিছু রক্ষা করে। আপনি এটা ঘরে রাখলে, আপনার বাসা বিকিরণ-মুক্ত হবে। এটা বিজ্ঞান দ্বারা অমুমোদিত। দেশে ৫০০-র বেশি গোাশালায় তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ বিকিরণ-রোধক চিপ। এক-একটির দাম ৫০-১০০ টাকা।”রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ হল কেন্দ্রীয় পশুপালন ও গবাদিপশু মন্ত্রকের অধীন একটি সংস্থা। ভারতের গবাদুপশু নিয়ে কাজ করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থাটি। গোবরে তৈরি এই মোবাইল চিপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গৌসত্তা কবচ’। সোমবার নতুন ধরনের এই চিপটির আনুষ্ঠিক উদ্বোধন করেন বল্লভভাই। কাথিরিয়ার কথায়, ‘তেজস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত অসুখের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে, গোবরে প্রস্তুত এই চিপ ফোনে ব্যবহার করা উচিত।’

Leave a Comment