এবার কৃষি আইন বিরোধীদের পাল্টা তোপ প্রধানমন্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় কৃষি বিলের বিরোধিতা করতে বিক্ষোভ কর্মসূচি, পথ অবরোধ শুরু হয়েছে। পাঞ্জাব এবং হরিয়ানায় বড় সংখ্যায় কৃষকেরা এর বিরুদ্ধে পথে নেমেছে। সোমবার রাজধানীর ‘হাই সিকিউরিটি’ এলাকায় ইন্ডিয়া গেটের সামনে জ্বলন্ত ট্র্যাক্টর। নয়া কৃষি আইন মানতে নারাজ, চারদিকে একটাই শ্লোগান ‘নয়া কানুন ওয়াপস লো’। এবার বিরোধীদের কড়া সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি বলেন, “যাঁরা কৃষি আইনের বিরোধিতা করছেন, তাঁরা অপমান করছেন কৃষকদের।”
সম্প্রতি কিছুদিনে এই বিলের বিরুদ্ধে একশোর বেশি কৃষক সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর পাঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থান, কেরল, তামিলনাড়ু, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্য এই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। আরও বড় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিরোধীরা। তবে এদিন উত্তরাখণ্ডে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চাষিরা অবশ্যই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাবেন। সেই সঙ্গে তাঁরা উৎপাদিত শস্য যে কোনও জায়গায় বেচতে পারবেন। এর মাধ্যমে অনেকের কালো টাকার আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।”
তাঁর কথায়, “সম্প্রতি শেষ হওয়া সংসদের অধিবেশন কৃষক, শ্রমিক ও স্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত প্রচুর সংস্কার আনা হয়েছে। এই সংস্কার দেশের শ্রমিক, যুব সম্প্রদায়, মহিলা ও কৃষকদের আরও দৃঢ় করবে। তবে দেশ এটাও দেখতে পাচ্ছে যে কী ভাবে কিছু মানুষ শুধু বিরোধিতা করবে বলে এর বিরোধিতা করছে। কৃষকরা যে যন্ত্রকে পুজো করে, সে গুলিকে পুড়িয়ে দিয়ে কৃষকদের অপমান করছেন তাঁরা।” মোদীর অভিযোগ, কৃষি আইনের বিরোধীরা শস্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছেন। অন্যদিকে নয়া কৃষি আইনকে চ্যালেঞ্জ করে এই প্রথম সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন কেরালা কংগ্রেসের এক সাংসদ। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রের নয়া আইন সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। পঞ্জাব সরকারও এ দিন জানিয়ে দিয়েছে, খুব তাড়াতাড়িই তারা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাবে। একই পথে হাঁটার ইঙ্গিত দিয়েছেন স্ট্যালিনরাও।