চীনের উহান থেকে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ছড়াতে শুরু করে করোনাভাইরাস। প্রথমদিকে গোটা বিশ্ববাসীর কাছে সম্পূর্ণরূপে অজানা এই ভাইরাসটি মারণ বানের মতন কাজ করে। তারপর আস্তে আস্তে গবেষণার মাধ্যমে করোনার অনেক খুঁটিনাটি তথ্য হাতে আসে, শুরু হয় এর প্রতিষেধক বানানোর প্রক্রিয়াকরণ, প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে চলতে থাকে গবেষণার কাজ। এখনো পর্যন্ত মোট ১১ টি ভ্যাকসিন চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। কাজ চলছে প্রায় ৯০ টি ভ্যাকসিন নিয়ে, কিন্তু সাধারণ মানুষের হাতে এখনো কিছু এসে পৌঁছায়নি।
প্রতিটি দেশের অর্থনীতি মার খাচ্ছে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ইউরোপের দেশ গুলি। সেখানে পর্যটনশিল্প ধুঁকতে বসেছে, এরমধ্যে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ায় গোটা ইউরোপ জুড়ে আবার লকডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। একই অবস্থায় আমেরিকায়, সেখানে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই দু’লক্ষ ছাড়িয়েছে। এরমধ্যেই ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিকে আগামী শীতের মরসুম নিয়ে সাবধানবাণী শুনিয়েছে।
সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর মুখপাত্র ট্রেডার্স আডেনাম গ্যাব্রিয়াসিস একটি বিবৃতিতে বলেন ” করোনার ভ্যাকসিন কবে বেরোবে সেই আশায় আমাদের বসে থাকলে চলবে না, সাবধানতা অবলম্বন করে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কাজ শুরু করতে হবে, সব সময় মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং নিজের হাত সবসময় পরিষ্কার রাখার মত সাধারণ বিধি গুলোকে মেনে চলতে হবে”। তিনি আরো বলেন ” কারোর শরীরে যদি করোনা সংক্রান্ত কোন উপসর্গ প্রকাশ পায় তবে সেই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিজেকে কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হবে”। তিনি বলেন ” যতদিন না ভ্যাকসিন আসছে ততদিন আমাদের এই সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করে চলতেই হবে, না হলে আমরা কোনদিনই করোনা কে দমাতে পারবোনা”।