করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা তাই ইতালির সরকারের পক্ষ থেকে আক্রান্তের সংখ্যায় লাগাম টানার জন্য জারি করা হয় কিছু বিধিনিষেধ আর তাতেই বিক্ষুব্ধ ইতালির জনগণ।
সোমবার রাতেই বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বেশ কিছু বিক্ষোভকারী আহত হয়েছেন এই সংঘর্ষের জেরে। মশাল হাতে মিলানের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা নামেন, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুটতে হয়। পুলিশের মতে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে অনেকেই বহিরাগত এবং কিছু অল্পবয়সী যুবকও রয়েছে।
সংক্রমণের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে সন্ধ্যে ছটার পর থেকে সমস্ত পাব এবং রেস্তোরাঁ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে সুইমিংপুল এবং প্রেক্ষাগৃহ। বিক্ষোভের জেরে আপাতত ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ যাদের মধ্যে ১০ জন ভিনদেশী এবং ১৩ জন নাবালক।
ইউরোপের প্রতিটি দেশের অবস্থা কমবেশি একই। জার্মানির সরকার পক্ষ থেকে জানানো হয় এ সপ্তাহের শেষে দৈনিক সংক্রমণ ছুঁতে পারে ২০ হাজারের গণ্ডি। গত ২৪ ঘণ্টায় জার্মানিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার এবং মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। ইংল্যান্ডেও উত্তরোত্তর বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী ৩ নভেম্বরের আগে করোনার টিকা বাজারে আসার সম্ভাবনা ক্রমশই ক্ষীণ হচ্ছে। করোনার সম্ভব্য ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা ফাইজার জানিয়েছে যে টিকার চূড়ান্ত পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশে তারা এখনো ইচ্ছুক নয় কারণ এই কাজের জন্য দায়িত্ব দেওয়া নিরপেক্ষ সংস্থা এখনো তাদের মূল্যায়ন শেষ করেনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আমেরিকার ভ্যাকসিন আসতে পরের বছর হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ট্রাম্পের নির্বাচন ক্ষেত্রে এটি নীতিবাচক হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।