করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে অনেকদিন আগেই। ব্রিটেনে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমন সংখ্যা। হসপিটাল গুলিতে ইতিমধ্যেই পা ফেলার জায়গা নেই। আইসিইউতে রীতিমতো রোগীদের লম্বা লাইন, তার মধ্যে আবার এটা ইউরোপের ফ্লু সিজন। সাধারণ ফ্লু নাকি করোনা সেটা চিহ্নিত করতে গিয়ে ডাক্তারদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মে অনেক কড়াকড়ি করা হলেও নাগরিকেরা তা মানতে নারাজ।
ইংল্যান্ডের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে এদিন প্রচুর পরিমাণে গ্রাফিতি দেখা গেল, সেই গ্রাফিতি গুলিতে মানুষের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে ” মুখোশ খুলে দাও”। গোটা দেশজুড়ে আন্দোলন জারি, আন্দোলনকারীরা করোনা কে শুধুমাত্র সরকারি প্রোপাগান্ডা বলে দাবি করছেন। তারা স্লোগান তুলেছেন ” সমগ্র অতিমারিটাই ভুয়ো “, ” আর মাস্ক নয়, আর মিথ্যে নয়”, “সরকারের মুখোশ খুলে দাও”। এই আন্দোলন গুলির জন্য এক জায়গায় প্রচুর পরিমাণে নাগরিক একত্রিত হচ্ছেন এবং এর ফলে এই আন্দোলন গুলি করোনার সুপার স্প্রেডারে পরিণত হচ্ছে। আমেরিকার জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষা অনুযায়ী মাথাপিছু সংক্রমণের হার আমেরিকার থেকে ইউরোপের দেশ গুলিতে অনেক বেশি।
একই ছবি দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সে, সেখানেও রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ এবং আন্দোলন। বিগত কয়েক দিন যাবত ফ্রান্সে প্রতিদিন প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
এইসব আন্দোলনের কারণ হিসেবে দেশগুলিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রভাব রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দেশের নাগরিকদের করোনার লকডাউন কে কোন কন্সপিরেসি থিওরির সাথে মিশিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ।