ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন আশঙ্কা করছে যে ইউরোপের দেশ গুলিতে করোনা সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউ আরম্ভ হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে আবার নতুন করে বেশ কিছু কড়া নিয়ম লাগু করা হয়েছে। করণায় মৃতের সংখ্যা ১০ লক্ষ ছাড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। তবে হু-এর মতে বিশ্বের অবস্থা আরো খারাপ হতে চলেছে। সামনেই শীতকাল তাই আমেরিকা এবং ইউরোপের শীত প্রধান অঞ্চল গুলো নিয়ে রীতিমতো ভাবনায় বিশেষজ্ঞরা।
এর মধ্যেই আন্টি লকডাউন সমাবেশে মুখরিত লন্ডন। ট্রাফালগার স্কয়ার এর সামনে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হয়ে সমাবেশ দেখালেন। তাদের দাবি তারা করোনা সংক্রান্ত কোন নিয়ম মানতে রাজি নয়। এদিকে যখন ইউরোপের প্রশাসন গুলি নতুনভাবে লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে সেখানে এই সমাবেশকারি মানুষদের দাবী হল “লকডাউন চলবে না”, “ভ্যাকসিন চাইনা”, “সামাজিক দূরত্ব মানি না” ইত্যাদি। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে ঝাল মসলাদার খাবার, ফাস্টফুড ইত্যাদির বিজ্ঞাপন এবং বিপনী বন্ধ করা হয়েছে তার কারণ এই ধরনের খাবার ইমিউনিটি বাড়াতে মোটেও সাহায্য করে না উল্টে শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নিজে করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বলেছিলেন ” চিকিৎসকদের সাহায্যে এ যাত্রায় বেঁচে ফিরলাম”। তিনি বারবার দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলে যাচ্ছেন যে “সংক্রমণ রুখতে,সমস্ত নিয়ম মেনে চলুন” কিন্তু দেশ তার কথায় কর্ণপাত সেরকমভাবে করতে ইচ্ছুক নয়।
সমস্ত নিয়মের তোয়াক্কা না করে বিক্ষুব্ধ নাগরিকরা ভিড় করে ট্রাফালগার স্কয়ারে। মেট্রোপলিটন পুলিশের থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে যাতে এই ধরনের জামায়াতকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে।
ব্রিটেনে এ পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৪২ হাজার। মেট্রোপলিটন পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন ” এ ধরনের বিক্ষোভের জন্য করোনা সংক্রমণ একলাফে অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে, সাধারণ মানুষ পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারছেন না”। বিক্ষোভকারীদের প্ল্যাকার্ডে এদিন বেশ কিছু স্লোগান লেখা দেখা যায় যেমন ” আর মাস্ক নয়, আর মিথ্যে নয়”, ” মাস্ক খুলে দাও”,
” লকডাউনকে না বল” ইত্যাদি।
ইংল্যান্ডের সাথে জার্মানিতেও মানুষজনকে লকডাউনের বিরোধীতা করতে দেখা গেছে। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ইউরোপের অর্ধেক বাসিন্দা করোনার ভ্যাকসিন নিতে অনিচ্ছুক। এর কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে নাগরিকেরা ভ্যাকসিন এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দিহান, এবং তাদের বেশিরভাগেরই বক্তব্য যে করোনার ভ্যাকসিন গুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে তৈরি করা এবং এগুলির কার্যকারিতা সন্দেহজনক।