করোনার সংক্রমণ গোটা বিশ্বে এখনো অব্যাহত। বিশ্বের প্রতিটি দেশই করোনার জেরে আর্থিক মন্দায় আচ্ছন্ন। ইউরোপ এবং আমেরিকায় আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। ইতিমধ্যেই ইউরোপের বহু দেশ দ্বিতীয়বার লকডাউনের কথা ভাবছে, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার জন্য ব্রিটেন অনেক কড়া আইন লাগু করেছে। আমেরিকার নিউইয়র্কেও আবার নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ সংখ্যা। স্থানীয় প্রশাসন থেকে নিউইয়র্ক এর নটি হটস্পটে লকডাউন লাগু করা হয়েছে। এমতো পরিস্থিতিতে একমাত্র ভরসা করোনার ভ্যাকসিন।
চীন এবং রাশিয়ার ভ্যাকসিন গুলি ছারলে, এখনো অব্দি অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি এবং এস্ট্রোজেনেকার যুগ্ম উদ্যোগে তৈরি করা ভ্যাকসিনটি সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই শেষ পর্যায়ের ট্রায়াল চলছিল ভ্যাকসিনটির। আশা করা যাচ্ছিল বড়দিনের আগেই বাজারে চলে আসবে ভ্যাকসিনটি। এমনকি বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও নাম না নিয়ে বলেন ” এ বছরের শেষেই করোনার ভ্যাকসিনের সুখবর পাওয়া যাবে”, ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন এর অধিকর্তা ট্রেডার্স এডানাম গ্যাব্রিয়াসিস ও একটি সাংবাদিক সম্মেলনে মন্তব্য করেন “বছরের শেষ নাগাদ আমরা নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন পেতে চলেছি “।
সম্প্রতি একটি ব্রিটিশ দৈনিক বেশ কিছু গোপন নথি হাতে পাওয়ার কথা জানাচ্ছে যার থেকে তারা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পেরেছে যে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটি নভেম্বরেই বাজারে আসতে চলেছে। ইতিমধ্যেই দেশের ৫ প্রান্তে ভ্যাক্সিনেশন কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এই টিকা পাওয়ার অগ্রাধিকার পাবে মূলত প্যারামেডিক্স, ডাক্তার, নার্স এবং করোনার সাথে লড়াইয়ে যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে এর সাথে রয়েছে যেসব ব্যক্তির বয়স ৮০ বা তার উর্ধে। দেশে উপস্থিত সমস্ত বৃদ্ধাশ্রমগুলিতেও মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে ভ্যাকসিন পাঠানো হবে। এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সেনার সাহায্য নেওয়া হবে বলে ওই গোপন নথিতে দাবি করা হয়েছে।