৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে আজ লালকেল্লা থেকে দেশের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন, আজ ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবস। তবে করোনা আবহে অন্যান্য বছরের তুলনায় আজ দিনটা একটু অন্যরকমের কাটাচ্ছে দেশবাসী। আজকের দিনে তবে প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে লালকেল্লাতে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসের দিন, জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা করলেন এক মহিলা সেনা। ‘ফ্ল্যাগ অফিসার’ মেজর শ্বেতা পাণ্ডে হলেন ভারতীয় সেনার ৫০৫ বেস ওয়ার্কশপের ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড মেকানিকাল (ইএমই)।
এই শ্বেতা পাণ্ডেই চলতি বছরের গোড়ার দিকে তেরঙা বহন করেছিলেন। শুধু তাই নয়, গত জুনে রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে ভারতের সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। এদিন প্রধানমন্ত্রী করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে দেশবাসীকে আস্থা দিলেন, তিনি বলেন, একটা নয়, দেশে তিন তিনটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে। ৭৪ তম স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে এই কথাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুধু তাই নয় সেই ভ্যাকসিন সবুজ সংকেত পেলেই ‘গণ উৎপাদন শুরু করে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এমনকি সেই ভ্যাকসিন দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার রূপরেখাও তৈরী করে ফেলেছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটা নয়, দেশে তিন তিনটি ভ্যাকসিন তৈরির কাজ চলছে।গবেষকরা জোর কদমে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হবে গণ উৎপাদন।” এদিন স্বাধীনতা দিবসের দিন কৃষকদের নিয়েও বড়োসড়ো ভাষণ রাখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে তিনি ‘আত্মনির্ভর কৃষি’ ও আত্মনির্ভর কৃষকদের’ কথা উল্লেখ করেন। এই দুই জিনিসকে কখনই অবহেলা করলে চলবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কৃষকদের সমস্ত রকম বন্ধন থেকে মুক্ত করতে হবে। যেটা আমরা করে দেখিয়েছে।” পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে এখন আর কৃষকদের কোনো এক্তিয়ারের মধ্যে থেকে নিজেদের উৎপাদন বিক্রি করতে হয়না। তারা নিজেদের মর্জি মতো দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে নিজেদের উৎপাদন বিক্রি করতে পারেন।
পাশাপাশি তিনি মহিলাদের বিবাহ সংক্রান্ত নয়া ভাবনার কথা দেশবাসীর সামনে রাখলেন। স্বাধীনতার পর দেশে ১৯৭৮ সাল থেকে মহিলাদের বিবাহের নূন্যতম বয়স ১৫ থেকে বাড়িয়ে নির্ধারিত হয়েছিল ১৮ বছর এবং পুরুষদের ২১। এবার এই নিয়মের বদল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে এখনও ১৮ বছর না হলেও নাবালিকা কন্যার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয় নিয়ম নীতি, পুলিশ প্রশাসনের অগোচরে। এবার পুরোনো নিয়ম বদলে মেয়েদের বিবাহের নূন্যতম বয়স বাড়িয়ে ২১ বছর নির্ধারণ করার পক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার।
পাশাপাশি ভারতের প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে যেমন তার পরিচিতির জন্য আধার কার্ড রয়েছে, এবার ঠিক সেরকমই প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরিচিতির জন্য আলাদা করে হেলথ আইডি দেওয়া হবে। আজ লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে এমনটাই ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।