নাতিকে বাঁচিয়ে নিহত দাদু, আবার রক্তাক্ত কাশ্মীর

বেশ কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। বিশেষ করে কাশ্মীরের সোপোর সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রায় রোজই জঙ্গিদের নিহত হওয়ার খবর আসছে। বুধবার সকালে ব্যবসার কাজে গাড়ি চালিয়ে সোপোরে যাচ্ছিলেন বশির আহমেদ খান, সঙ্গে ছিল তার বছর তিনেকের নাতি আয়াদ। কিন্তু তারা জানতেন না যে সোপোরে সিআরপি ও জঙ্গিদের তীব্র লড়াই চলছে, ঘটনাচক্রে বশির আহমদের গাড়ি এসে পড়ে সেই গুলি যুদ্ধের মাঝখানে। বশির আহমেদ নিজের নাতিকে গাড়ি থেকে বার করে ওখান থেকে পালানোর চেষ্টা করেন কিন্তু তীব্র গুলি যুদ্ধের মধ্যে মৃত্যু হয় তার তবুও শেষ পর্যন্ত নিজের নাতিকে আঁকড়ে রেখেছিলেন এবং নাতির গায়ে কোন আঁচড় লাগতে দেননি।

পুলিশ সূত্রের খবর, বুধবার সকাল আটটা নাগাদ সোপোরে সিআরপির টহলদার জওয়ানদের লক্ষ্য করে কাছের একটি মসজিদ থেকে ছুটে আসতে থাকে ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি আর এর মধ্যেই বশির আহমেদ -এর গাড়ি ফেঁসে যায়। তিনি গাড়ি থেকে নাতিকে নিয়ে নেমে আড়াল খুঁজতে থাকলে কোনো এক পক্ষের গুলি তাকে ঝাজরা করে দেয় কিন্তু অক্ষত থাকে তার নাতি আয়াদ।

জঙ্গিরা পিছু হটেছে, মসজিদে কোন জঙ্গীর মৃতদেহ উদ্ধার নাহলেও পাওয়া গেছে রক্তের চাপ চাপ দাগ। সেনার তিন জওয়ান জখম হয়েছেন। বশির আহমদের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে এলাকা। পেশায় ঠিকাদার বশিরের ছেলে দাবি করেছে, নিরাপত্তারক্ষীরা তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে গুলি করে মেরেছে। অন্যদিকে সিআরপির এডিজি যুলফিকার হাসান বলেছেন ” জঙ্গিদের গুলিতে বশিরের মৃত্যু হয়েছে, সীমান্তের ওপার থেকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে উল্টো পাল্টা খবর ছড়ানো হচ্ছে, কেউ ভাবেনি জঙ্গিরা ধর্ম স্থানে ঘাঁটি করবে”।

সিআরপির দাবি, গুলির লড়াই এর মধ্যে কয়েকজন জওয়ান আয়াদ কে বাঁচায় এবং সহকর্মীরা তখন গুলি চালিয়ে তাদের কাভার দেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হওয়া একটি ফুটেছে দেখা গিয়েছে গাড়ির মধ্যে পুলিশকর্মীরা চকলেট গাড়ির মধ্যে পুলিশকর্মীরা চকলেট ও বিস্কুট দিয়ে ভোলানোর চেষ্টা করছে আয়াদ কে।

Leave a Comment