কিম জং এর দেশ উত্তর কোরিয়ায় বিদেশীদের আনাগোনা অনেক কমই থাকে, থাকে দেশের নাগরিকদের উপর প্রচুর পরিমাণে প্রতিবন্ধকতা। জানুয়ারি মাসে করোনা সংক্রমণ গোটা বিশ্বে ছড়াতে শুরু করলে উত্তর কোরিয়া নিজের সীমান্ত সিল করে দেয়। কারণ তাদের যা পরিকাঠামো তা দিয়ে করোনা মহামারী আটকানো সম্ভব নয় কিন্তু তাও শেষ রক্ষা করা গেল না, প্রথম করোনা সংক্রমণ হলো উত্তর কোরিয়াতে।
দেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে দাবি করা হয়, করোনা সংক্রমণ সন্দেহে উত্তর কোরিয়ার কিসং শহরে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বেহাল চিকিৎসা পরিকাঠামোর জন্যই আগে থেকে রোগ প্রতিরোধের উপর জোর দিচ্ছে উত্তর কোরিয়া। সর্বোচ্চ স্তরের সর্তকতা জারি করা হয়েছে দেশজুড়ে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, যে ব্যক্তির করোনা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে বেআইনিভাবে কাঁটাতার পেরিয়ে উত্তরে প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে তিনি কিসং শহরে রয়েছেন এবং তাকে কোয়ারান্টিনে রাখা হয়েছে। যদিও বেআইনিভাবে অনুপ্রবেশের ব্যাপারটা দক্ষিণ কোরিয়া নাকচ করেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকার সঞ্চালিত সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে তারা দেশে সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সংক্রমণের হার এখন অনেকটাই কম। দক্ষিণ কোরিয়ায় গড়ে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৬০ জন সংক্রমিত হচ্ছেন। মোট সংক্রমণ সংখ্যা ১৪ হাজার, এবং মৃত্যু হয়েছে তিনশোর কাছাকাছি।
তবে করোনার সংক্রমণ এবং মৃত্যু মিছিল একসাথে জারি রয়েছে আমেরিকায়, সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় দেড় লাখের কাছাকাছি এবং গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ হাজার ২১২ জন। সেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্ত ২৪ লক্ষ এবং মারা গিয়েছেন ৮৬ হাজার মানুষ। এরপর ব্রিটেন এবং মেক্সিকোতে মারা গিয়েছেন যথাক্রমে ৪৫ হাজার এবং ৪৩ হাজার মানুষ।