চীনের হ্যাকারদের দৌরাত্ম্য ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামরিক দিক দিয়ে সুবিধা করতে না পারার কারণে এবারে ভার্চুয়াল জগতে আক্রমণ চালাচ্ছে তারা। সম্প্রতি ৫৯ টি চাইনিজ অ্যাপ বন্ধ করার পর ভারত সরকার এখন চাইছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নিষেধাজ্ঞা করতে। বৈদ্যুতিক সরঞ্জামে চাইনিজ কোম্পানিগুলো ব্যবহার করতে পারে “ট্রোজান হর্স ” ভাইরাস। আর এই ধরনের ভাইরাস ভারতের বৈদ্যুতিক গ্রিড গুলোর উপর আক্রমণ করে তাদের যেকোনো মুহূর্তে বসিয়ে দিতে পারে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আর কে সিং বলেন ” চীন বা পাকিস্তানের মতো দেশ থেকে বিদ্যুৎ সরঞ্জাম আমদানি করতে হলে ভারত সরকারের অনুমতি নিতে হবে “। তাই বাধ্যতামূলকভাবে চীনের বিদ্যুৎ সরঞ্জাম আলাদা করে পরীক্ষা করতে হবে। আর কে সিং জানান ” যেকোনো ধরনের এমবেড করা ক্ষতিকারক সফটওয়্যার এবং সাইবার হানায় প্রতিরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমদানি করা যন্ত্রাংশের ভারতীয় মান বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে”।
ট্রোজান হর্স কথাটি ইলিয়াড মহাকাব্যের থেকে এসেছে, যেখানে ট্রয় নগরী জেতার জন্য গ্রিক সেনারা একটি বিরাট বড় কাঠের ঘোড়া নির্মাণ করে এবং তার ভেতর অল্প সংখ্যক সেনা লুকিয়ে থাকে, পরে ট্রয়ের রাজার আদেশে সেই ঘোড়া ঢোকানো হয় ট্রয় নগরীর মাঝখানে এবং রাতের অন্ধকারে যখন গোটা ট্রয় নগরী ঘুমে আচ্ছন্ন তখন সে ঘোরার পেট থেকে বেরিয়ে আসে গ্রিসের সেনারা এবং আক্রমণ করে যুদ্ধে জিতে নেয় ট্রয় নগরী, ট্রোজান ভাইরাস ঠিক এভাবেই অতর্কিতে আক্রমণ করে এবং সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যার এর কন্ট্রোল তুলে দেয় আক্রমণকারী কম্পিউটারের হাতে।
ট্রোজান থেকে বাঁচার জন্য আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে যেমন অচেনা ইমেইল না খোলা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অচেনা অজানা প্রফাইল এড়িয়ে চলা, স্মার্টফোন এবং কম্পিউটারে এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা, ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা ইত্যাদি।
এদিন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রী আরো জানান যে গত বছর শুধু চীন থেকে আমদানি হয়েছে ২১ হাজার কোটি টাকার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। তাই ভারতকে এই বিষয়ে আত্ননির্ভর হওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তিনি।