পাকিস্তানকে কড়া বার্তা হবু মার্কিন রাষ্ট্রদূতের

উইলিয়াম থাড হতে চলেছেন পাকিস্তানের পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত। কিন্তু তার আগেই তিনি একটি বিবৃতিতে পাকিস্তানকে যথেষ্ট চাপে রাখলেন, থাড বলেন ” যদি পাকিস্তান চায় আমেরিকার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে, তাহলে এই মুহূর্তে তাদের সন্ত্রাসবাদ দমনে মন দেওয়া উচিত”। হোয়াইট হাউজের পাকিস্তান নীতি যে কোন ভাবেই নরম হচ্ছে না আকার-ইঙ্গিতে সেটাই বুঝিয়েছেন থাড। তবে পাকিস্তান হাতছাড়া করতেও নারাজ হোয়াইট হাউস। কারণ চীনের অধিপত্য ইসলামাবাদে সম্পূর্ণরূপে স্থাপন করতে দিলে এশিয়া মহাদেশে অস্থিরতার সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করেন মার্কিন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সামনে ঘোষণা করা হয় যে উয়িলিয়াম থাড হতে চলেছেন পাকিস্তানের পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত। আর তারপরেই এমন বিবৃতি প্রকাশ করেন থাড। তিনি জানান সন্ত্রাসবাদ দমনে পাকিস্তানকে এখনো অনেকটা পথ হাঁটতে হবে, তাদের অনেক সুযোগ রয়েছে নিজেকে প্রমাণ করার, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গোটা বিশ্বে তাদের যে প্রতিচ্ছবি সৃষ্টি হয়েছে তাকে ভুল প্রমাণ করাটাই পাকিস্তানের আদর্শ হওয়া উচিত। আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও যে পাকিস্তান বিরাট বড় ভূমিকা নিতে পারে তাও তিনি বারবার বলেছেন। তিনি বলেন ” আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান বিরাট বড় ভূমিকা নিতে পারে, এবং আমেরিকা তাদের সাহায্য প্রার্থী”।

ভারতের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে থাড বলেন ” ভারতের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট মজবুত, এবং আমরা তা সমস্ত ক্ষেত্রেই আরও মজবুত করার চেষ্টা করে চলেছি, তবে আমেরিকার সাথে ভারতের সম্পর্ক কখনোই পাকিস্তানকে কোণঠাসা করার জন্য নয়”। ওয়াশিংটন যে কোন মতেই চায়না পাকিস্তানকে একা ফেলতে তা তিনি বুঝিয়ে দেন। ভারত পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্বন্ধে তিনি বলেন “এই দুটি দেশ নিজেদের সমস্যা নিজেরাই মেটাতে সক্ষম, তবে যদি কখনো আলোচনায় সাহায্যের দরকার হয় তবে মার্কিন প্রশাসন তার সব সময় করতে ইচ্ছুক”। ভারত পাকিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময় আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব করার কথা বলে এসেছেন, তাই থাডের বক্তব্যে যে তার অন্যথা হবে না তা বলাই বাহুল্য। তবে এই সময় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন চলছে তার মধ্যে থাডের বিবৃতিটি কূটনৈতিক দিক থেকে যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Comment