বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষের একাধিকবার করোনায় সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রায়শই শোনা যাচ্ছে। তাই এসবের পর সাধারণ মানুষ এবং বৈজ্ঞানিক মহলে একটি প্রশ্ন বারবার নড়াচড়া দিচ্ছিল একবার করোনার অ্যান্টিবডি শরীরে তৈরি হলে তা স্থায়ী হয় কতদিন?
সম্প্রতি এক বাঙালি মার্কিন বৈজ্ঞানিক দীপ্ত ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে আমেরিকার অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বিশেষজ্ঞ গবেষণার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন যে শরীরে করোনার অ্যান্টিবডি একবার তৈরি হলে তা স্থায়ী হয় প্রায় ৫ থেকে ৬ মাস।
প্রায় ছয় হাজার করোনা রোগীদের কে নিয়ে করা হয় এই গবেষণাটি। একটি বিজ্ঞপ্তিতে দীপ্ত ভট্টাচার্য বলেন “গবেষণার ফলে যেটা দেখা যাচ্ছে যে শরীরে একবার করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তা প্রায় ছয় মাস অব্দি বিদ্যমান থাকছে”।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে দীপ্ত বলেন ” ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথমবারের জন্য ঘটলে সাধারণত শরীরের ক্ষণস্থায়ী প্লাসমা, অ্যান্টিবডি তৈরির দায়িত্ব নেয় এবং সংক্রমণের প্রায় ১৪ দিন পরে এই এন্টিবডি কাজ করা শুরু করে। এরপর দীর্ঘমেয়াদী অ্যান্টিবডি তৈরি করার জন্য দীর্ঘস্থায়ী প্লাজমা কোষগুলি কার্য শুরু করে, এবং ধীরগতিতে উচ্চমানের অ্যান্টিবডি তৈরি করে”।
এর আগেও করোনা আক্রমণের পর শরীরে অ্যান্টিবডির স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল, কিন্তু এই গবেষণার বক্তব্য সেগুলো সমস্তই করা হয়েছিল ক্ষণস্থায়ী প্লাসমা সেল গুলির দ্বারা নির্মিত প্রথম পর্যায়ের এন্টিবডির উপর যেগুলি সংক্রমণের ১৪ দিনের মাথায় কাজ শুরু করলেও এর স্থায়িত্ব খুবই কম। এর আগের গবেষণাগুলোতে দীর্ঘস্থায়ী প্লাসমা সেল গুলির দ্বারা তৈরি এন্টিবডির উপর সঠিক ভাবে নজর দেওয়া হয়নি বলে দাবি করছে এই গবেষণাটি।