করোনা থেকে বাঁচতে নয়া পদক্ষেপ, নবান্ন ছাড়ছেন মুখ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন, গত ২ মাসে বহুবার নবান্নে করোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে নাম জড়িয়েছিল নবান্নের। তারপর নবান্নের গাড়ির চালক থেকে দুঁদে আমলা কাউকে ছাড়েনি সংক্রমণ। এক তলা থেকে চোদ্দ তলা পর্যন্ত রোজ কোথাও না কোথাও মিলছে সংক্রমণের খবর। প্রতিবারেই নবান্নকে স্যানিটেজ করা হয়েছে। কিছু আতঙ্ককে কি দূরে ঠেলা যায়। তাই এবার নবান্নে করোনা সংক্রমণ রুখতে লিফট ও মূল ফটকের ব্যবহারে কিছু বিধিনিষেধ জারি হল। মঙ্গলবার থেকেই এই নতুন বিধি কার্যকর হয়েছে।পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর উপান্নতে স্থানান্তরিত করার কথা ভাবা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীকে সেফ রাখার জন্য এবার এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চলতি মাসেই সেখানে এই দপ্তর স্থানান্তরের কথা।
বর্তমান পরিস্থিতি গত মাসে নবান্নের পাশেই ‘উপান্ন’ নামে একটি নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল ওই ভবনে থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স সেল। সঙ্গে থাকবে কলকাতা পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম। কিন্তু করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে এবার নবান্নের ১৪ তলা ছেড়ে সেখানেই যেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি বেশ কয়েক দফায় নবান্নের বিভিন্ন দপ্তর ও সচিবের ঘর-সহ খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর যেখানে সেই ১৪ তলাতেই করোনা ভাইরাস-এর সংক্রমণ ধরা পড়েছে। সেই জন্য গোটা নবান্ন স্যানিটাইজ করার কাজ চলে সপ্তাহে একদিন।
নবান্ন সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর উপান্নে সরানোর পরিকল্পনা পাকা। অগাস্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে সেখান থেকে কাজ শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ভবনে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া প্রবেশাধিকার থাকবে না কারও। এমনকী আমলাদেরও ঢুকতে হবে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি নিয়ে। নবান্নের ভিআইপি করিডোরে দুটি লিফট রয়েছে। দপ্তরে যাতায়াতের সময় তার মধ্যে একটি লিফট ব্যবহার করেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্য সময় দুটি লিফট ব্যবহার করেন আমলা, শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক এবং সাধারণ কর্মীরা।মঙ্গলবার থেকে ওই নিয়মে চেঞ্জ, দুটি লিফটের মধ্যে একটি শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। অন্য লিফটটি ব্যবহার করবেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিসের ডিজি এবং মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের আধিকারিকরা। শেষমেশ করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় সাধের নবান্ন ছাড়তে চলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।