ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন অনেক আগেই করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্পর্কে সচেতন করেছিল। ইউরোপের দেশ গুলিতে ইতিমধ্যেই সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ধাক্কা দিয়েছে, প্রত্যেকদিন লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ সংখ্যা এবার আমেরিকার অবস্থাও একই দিকে। করণা সংক্রমণে এখনো পর্যন্ত আমেরিকার সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শহর নিউ ইয়র্ক আবার নতুন করে লকডাউনের পথে হাঁটার কথা ভাবছে।
সামনেই আমেরিকায় প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অনেকদিন ধরেই বলে আসছিলেন যে নভেম্বরের মধ্যে চলে আসবে করোনার টিকা কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছিল আগের সপ্তাহে প্রকাশ পাওয়া মডার্নার একটি বিবৃতি যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয় যে টিকা বাজারে আসতে কমপক্ষে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি হবেই। এদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প নিজেরাই করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
এখনো পর্যন্ত নিউইয়র্ক এ মোট ২০টি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত ব্রুকলিন এবং কুইন্স এলাকার ইহুদি অধ্যুষিত স্থানগুলিতে করোনার প্রকোপ সবথেকে বেশি। নিউইয়র্ক এর মেয়র বিল দে ব্লাসিও জানান “এলাকার লোকেদের সামাজিক বিধি নিষেধ এবং মাস্ক পড়াতে প্রশাসনের রীতিমতো কালঘাম ছুটছে, এরকম অবস্থা চলতে থাকলে এই এলাকাগুলিতে করোনা সংক্রমণ হ্রাস করা বেশ কঠিন হবে”।
যেখানে গোটা নিউইয়র্ক শহরের সংক্রমণ হার মাত্র দেড় শতাংশ সেখানে ব্রুকলিন এবং কুইন্সের এই এলাকাগুলিতে সংক্রমণের হার প্রায় ৮%। এখনো পর্যন্ত মোট নটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হবে। এই বুধবার থেকেই কুইন্স এবং ব্রুকলীনের ওই নটি এলাকায় জরুরী পরিষেবা ছাড়া বন্ধ রাখা হবে বাকি সমস্ত কিছু। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রেক্ষাগৃহ সমস্তই থাকবে এই বন্ধের তালিকায়। বাকি ১১ টি এলাকায় কড়াকড়ি একটু কম থাকবে, সেখানে রেস্তোরা এবং প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকলেও, খোলা রাখা হবে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আমেরিকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার পর থেকেই সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিউইয়র্ক, আমেরিকার জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির করা একটি পরিসংখ্যানের রিপোর্ট অনুযায়ী আমেরিকায় মোট মৃতের সংখ্যা দুই লাখেরও বেশি যেখানে নিউইয়র্কেই মারা গেছেন প্রায় ৩৩ হাজার। আমেরিকায় মোট সংক্রমিত সংখ্যা ৭৪ লক্ষ।