সংক্রমণ ঠেকানো মূল উদ্দেশ্য, কিন্তু বাড়ি ফিরতে চাওয়াও স্বাভাবিক : মোদী

লকডাউনে সরকার চেয়েছিলো যে যেখানে আছে থাকুক সেখানেই, কিন্তু মানুষের কাজ হারানোর ফলে এই চিন্তা ভেস্তে যায়। কাজ হারানোয় খাওয়ারের অভাব মানুষদের রাস্তায় টেনেআনে। সমস্ত দিক বিচার করে বেশকিছু সিদ্ধান্ত পাল্টানোর কথা ভাবছে সরকার। ১৭ মে এর পর লকডাউনের ভবিষ্যত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আগামী ১৭ মে তৃতীয় দফার লকডাউন শেষ হতে চলেছে এবং এরপরে লকডাউনের ভবিষ্যৎ কি হবে সেই নিয়ে চলছে জল্পনা, কনটেনমেন্ট জোন বাদ দিয়ে বাকি জায়গায় বিধিনিষেধ শিথিল করা হবে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

এর মধ্যেই সোমবার বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন, বৈঠকে সামিল ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন “যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকুন এমনটাই চেয়েছিল সরকার, কিন্তু মানুষ বাড়ি ফিরতে চাইবেন তাই বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে, তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, সংক্রমণ যেন কোনোভাবেই গ্রামগুলোতে পৌঁছাতে না পারে আর সেটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ”।

রাজ্যগুলোকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন “প্রত্যেকেই নিজের দায়িত্ব বুঝেছেন এবং সেই মতো করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন, সব রাজ্যের সচিবদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন কেবিনেট সচিব, তবে আমাদের আরো সজাগ থাকতে হবে, ভারসাম্য বজায় রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, সকলের পরামর্শ মেনে গাইডলাইন তৈরি করতে হবে”।

এই নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে পঞ্চম বার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউন নিয়ে এদিন তাকে নিজেদের মতামত জানান মুখ্যমন্ত্রীরা, তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো গিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।

Leave a Comment