বায়োওয়েপন নাকি অন্যকিছু, আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশের কৃষকেরা পোস্টালের মাধ্যমে পাচ্ছে সন্দেহজনক বীজ। এগুলো তারা কোনোদিন অর্ডার করেনি তাও তাদের ঠিকানায় পৌঁছে যাচ্ছে সন্দেহজনক বীজ। এই ঘটনা এখনো পর্যন্ত ঘটেছে ফ্লোরিডা, কলোরাডো, নিউ অরলিন্স, আলাবামার মত বহু জায়গায়। আমেরিকান পুলিশ এখনো পর্যন্ত এর কিনারা করে উঠতে পারেনি। বীজের খামের পোস্টাল ঠিকানায় বোঝা যাচ্ছে বীজ পাঠানো হয়েছে চিন থেকে, চৈনিক ভাষায় লেখা রয়েছে সেই ঠিকানা। কিন্তু যারা এই বীজের কোনো ভাবেই অর্ডার করেনি তাদের ঠিকানায় কিভাবে এই বীজ আসছে সেটা এখনো পরিষ্কার নয়।
ব্রিটেনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকেও একইরকম ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তবে আমেরিকা এবং ব্রিটেন সরকার এই ধরণের বীজ পেলে সেই খাম গুলো খুলতে বারণ করেছেন কারণ গোয়েন্দা দপ্তরের মতে এগুলো হতে পারে বিভিন্ন মারণ জীবাণুর প্যাথোজেন, এবং সার্স বা ইবোলার মত কোনো মারণ ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে গোটা দেশ জুড়ে।
চীনের বিদেশ মন্ত্রী জানিয়েছেন যে তারা এই বিষয়ে একেবারেই কোনোকিছু জানেন না অবশ্য ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে আগ্রহী, তিনি ওই বীজের নমুনা চেয়েছেন যাতে চীনের ল্যাবরেটরি সেগুলো পরীক্ষা করে দেখতে পারে।
সম্প্রতি পাকিস্তান ও চীনের বায়োওয়েপন তৈরি নিয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ভারতকে সাবধান করেছে। বিশেষ করে করোনা অতিমারীর পর চীনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে বহু মহলে প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। এর মধ্যে এমন একটি খবর চীনের ওপর নতুন করে চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।